মেডিকেলে ভর্তির শঙ্কায় থাকা সেই ইকতারের দায়িত্ব নিলেন ভিপি নুর
অর্থের অভাবে মেডিকেলে ভর্তির শঙ্কায় থাকা মো. ইকতার আলীর ভর্তির দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) ‘মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত ইকতারের’ শিরোনামে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে সংবাদ প্রচারের পর ইকতারের ভর্তির বিষয়ে সহযোগিতার কথা জানান নুরুল হক নুর।
নুর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দেশের অদম্য মেধাবীরা অর্থের অভাবে ঝড়ে পড়বে এটি মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের মেধাবীরা দেশের সম্পদ। ইকতারের সাথে আমি কথা বলেছি। তার ভর্তি হতে ২২ হাজার টাকা লাগবে। এই টাকা আমি দেব। ভর্তি পরবর্তী বই-খাতা কিনতে যদি তার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তাহলে সেটিও আমি করার চেষ্টা করবো।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতার লেখা প্রকাশ করায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস প্রতিনিধিকে মারধর
এ প্রসঙ্গে ইকতার বলেন, দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে সংবাদ প্রচারের পর ডাকসুর ভিপি নুর ভাই আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। তিনি আমার ভর্তির দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন। তার এই অবদান আমি কোনোদিন ভুলব না। আল্লাহ তাকে নেক হায়ত দান করুন। একই সাথে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসেকেও ধন্যবাদ আমার অসহায়ত্ব নিয়ে সংবাদ প্রচার করার জন্য।
প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে ২৭৮৬তম হয়ে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পায় ইকতার।
আরও পড়ুন: অর্থাভাবে ঢাকা ছেড়েছেন গরিবের ডাক্তার বুলবুলের স্ত্রী
ইকতারের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার মমিনপুর উপজেলার নীলমনিগঞ্জ ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামে। হাশেম আলী ও মুসলিমা খাতুন দম্পতির সন্তান ইকতার। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। তার পরিবারের সকলেই দিনমজুর। নুন আনতে পান্তা ফুরোনো অবস্থা তাদের। সংসারের হাল ধরতে ৬০ বছর বয়সে ইকতারের বাবা রাজধানীর আদাবরের একটি বাসায় মাত্র ৮ হাজার টাকা বেতনে কেয়ারটেকারের চাকরি করেন। আর তার মা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করেন। সংসারে অভাব লেগে থাকলেও দমে যাননি ইকতার। পিইসি, জেএসসি, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার সবগুলোতেই পেয়েছেন জিপিএ-৫।