ইউটিউব দেখে কুল চাষে ভাগ্য বদল কলেজছাত্রের
ইউটিউব দেখে ‘অস্ট্রেলিয়ান বল সুন্দরী’ কুল চাষে ভাগ্য ফিরিয়েছেন নড়াইলের কলেজছাত্র রাকিব। অর্থনীতিতে স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র তিনি। লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা গ্রামের কৃষক জহর শেখের ছেলে রাকিব।
রাকিব বলেন, ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে উদ্যোগ নেই আমি। সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৬৯ শতাংশ জমিতে ৪০০টি চারা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান বল সুন্দরী কুল চাষ শুরু করি। এই অস্ট্রেলিয়ান বল সুন্দরী কুল চাষে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু মুনাফার পরিমাণ অনেক বেশি। ভাবিনি এতো ফলন হবে।
বর্তমানে প্রতিদিন ১৫০-২০০ কেজি কুল বিক্রয় করছেন। দিন যতই যাচ্ছে, কুলের চাহিদা ততই বাড়ছে। এলাকার অনেক ছাত্র-ছাত্রী, যুবক ও কৃষকরা প্রতিদিনই এই কুল বাগানটি দেখতে আসছেন। এই জেলায় তিনিই প্রথম এই অস্ট্রেলিয়ান বল সুন্দরী চাষ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: হিজাব পরে কলেজে ঢুকতে বাধা, চাকরি ছাড়লেন অধ্যাপিকা
রাকিব আশা করছেন, এ বছর তিনি পাঁচ লাখ টাকার বেশি কুল বিক্রি করতে পারবেন। কুল চাষে তুলনামূলক খরচ কম হওয়ায় লাভও বেশি হচ্ছে। তবে চারা সংগ্রহ করাই একটু কষ্টসাধ্য বলে জানালেন রাকিব। তিনি নিজের পড়াশোনার খরচ মিটিয়ে পরিবারকে সহায়তা করছেন। এছাড়াও তার কুল বাগানে কাজ করে কর্মসংস্থান হয়েছে পাঁচ-সাতটি পরিবারের। সরকারি সহায়তা পেলে আরও বড় পরিসরে কুল চাষ করতে চান।
লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইস উদ্দিন বলেন, আমরা তাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি। ব্যতিক্রমী এই কুল চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন রাকিব। এটি নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক উদ্যোগ। এর মাধ্যমে এলাকার তরুণ-যুবকরা তার মতো আত্মনির্ভরশীল হবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করবেন।