বাদাম বিক্রির টাকায় পড়ে মেডিকেলে চান্স, ভর্তি অনিশ্চিত
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের দিঘির পাড় গ্রামের মতিলাল অধিকারী ও বাসন্তী অধিকারী দম্পতির সন্তান ভুপেন্দ্র অধিকারী। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু সুযোগ পেলেও বাদাম বিক্রেতা বাবার পক্ষে তার মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ার খরচ চালানো প্রায় অসম্ভব। তাই টাকার অভাবে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ভুপেন্দ্রের মেডিকেল কলেজে ভর্তিতে।
হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান ভুপেন্দ্র ডালিয়া চাপানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসসি এবং রংপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
জানা গেছে, মতিলাল অধিকারী ও বাসন্তী অধিকারী দম্পতির তিন ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে পঞ্চম ভুপেন্দ্র। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ভুপেন্দ্র। তার বাবা একজন বাদাম বিক্রেতা এবং মা গৃহিণী। তার বড় দুই ভাই বিভ্ন্নি স্থানে রিকশা চালান। তিন বোনের বিয়ে হয়েছে। ছোটবোন ৫ম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে।
ভুপেন্দ্র অধিকারী জানান, এতদিন বাদাম বিক্রি করেই তার পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন তার বাবা। কিন্তু এখন বয়স হওয়ায় বাদামের ব্যবসা করার শক্তিও নেই তার বাবার। এছাড়া তার বড় দুই ভাই রিকশা চালিয়ে তাদের পরিবার নিয়ে নিজেরাই হিমশিম খাচ্ছে।
ছেলেটাকে ঠিকভাবে লেখাপড়ার খরচ দিতে না পারলেও সে নিজের আগ্রহ ও কঠিন পরিশ্রমে লেখাপড়া অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে ভুপেন্দ্রর বাবা মতিলাল অধিকারী জানান, এখন সে মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু মেডিকেলে ভর্তির জন্য যে টাবা দরকার তা কিভাবে যোগাড় করবো ভেবে পাচ্ছি না।
ছেলের মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তশালীদের কাছে সহায়তা কামনা করেছেন তিনি।