রহিমের মেডিকেলে পড়ার দায়িত্ব নিল রাব্বানীর সংগঠন
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হতদরিদ্র রিক্সাচালক আব্দুল হালিম বিশ্বাসের অদম্য মেধাবী ছেলে আব্দুর রহিমের মেডিকেলে ভর্তির খরচ বহন ও বই কিনে দেয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানীর সংগঠন টিম পজিটিভ বাংলাদেশ (টিপিবি)।
শনিবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে রাব্বানী বলেন, যশোরের মনিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটী ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের হতদরিদ্র রিক্সাচালক আব্দুল হালিম বিশ্বাসের অদম্য মেধাবী ছেলে আব্দুর রহিম। সে এ বছর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে যায়।
তিনি লিখেন, অসহায় ছেলেটির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর রহিমের দিকে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও টিম পজিটিভ বাংলাদেশের সদস্য সামিয়া হক। তিনি ইতিমধ্যেই রহিমের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং ভর্তির খরচ বহনসহ মেডিকেলের সকল বইও কিনে দেয়ার স্বদিচ্ছা ব্যক্ত করেছেন।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ৭২৪ হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান আব্দুর রহিম। তিনি ঢাকা কলেজ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন।
ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৭৬.৫ নম্বর। শিক্ষাজীবন জুড়েই অভাব অনটনে আর্থিক দুশ্চিন্তা ছিল রহিমের নিত্যসঙ্গী। মেধার জোরে সব বাধা জয় করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেলেও সেই আর্থিক দুশ্চিন্তাই তাকে ঘিরে ধরে ছিল।
স্ট্যাটাসে রাব্বানী লিখেন, অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এভাবে অসহায় অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের স্বচ্ছল শিক্ষার্থী ও ডাক্তার ভাই-বোনদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই। আজ আপনি তাদের সাহায্য করলে, কাল তারা অন্যদের সাহায্য করবে। আমাদের প্রচুর মানবিক ডাক্তার প্রয়োজন।
আব্দুর রহিমের বাবা আব্দুল হালিম বিশ্বাস বলেন, বিয়ের পর স্বপ্ন দেখতাম আল্লাহ আমাকে একটা ছেলে দিলে তাকে ডাক্তার বানাবো। আল্লাহ ছেলে দিলেন। সে মেডিকেলে চান্সও পেয়েছে। এখন ছেলের ভর্তি, বই কেনা অনেক খরচ। পাব এতো টাকা কোথায় পাব তাই নিয়ে চিন্তা আছি। তবে শনিবার দুপুরে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী খোঁজ খবর নিয়েছেন। এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞ।