করোনাকাল

পরিবারের হাল ধরতে পড়াশোনা ছেড়েছে ২৮% তরুণ

  © প্রতীকী ছবি

করোনা মহামারির ফলে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে বিপুলসংখ্যক তরুণ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। আর্থিক দুর্বিপাকে পড়া পরিবারকে সহায়তা করতে এদের ২৮ শতাংশ পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আর ৮০ শতাংশের আয় কমে গেছে।

আজ রবিবার (১ নভেম্বর) ‘কোভিড–১৯ ও বাংলাদেশ: আর্থসামাজিক পুনরুজ্জীবনে যুব এজেন্ডা’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সংলাপে এ তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি সংগঠন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ।

সংগঠনটি ১৮-২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ১৬৩ জনের ওপর অনলাইনে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে এই জরিপ পরিচালনা করে। ১৮–৩০ বছর বয়সী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮৬৩ জন পুরুষ, ২৯৯ জন নারী এবং ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের।

অতিমারির কারণে প্রযুক্তিগত বৈষম্য, শিক্ষা ও দক্ষতা এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে জরিপে বলা হয়, নারীদের মধ্যে ৮ শতাংশ বিয়ের কারণে পড়াশোনা ছেড়েছে। আর পরিবারকে সহায়তা করার জন্য ছেড়েছে ১৩ শতাংশ। পুরুষদের মধ্যে এটি ৩২ শতাংশ।

দুই–তৃতীয়াংশ ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে। কোভিডে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। ৯৬ শতাংশ জানিয়েছে, তারা নানা ধরনের মানসিক অবসাদে ভুগছে। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশের অবসাদ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। অনলাইনে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে যুক্ত নেই ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ।

অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ, একশনএইড বাংলাদেশ, ফ্রেডরিক ইবার্ট স্টিফটুং বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।

জরিপ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিপিডির কর্মসূচি সহযোগী তামারা-ই-তাবাসসুম। আর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির জ্যেষ্ঠ রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। এতে বক্তব্য রাখেন সাংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ