এক মিনিটে ৬৪ জেলার নাম বলেন জলিল

  © সংগৃহীত

পানছড়ি উপজেলার ১ নম্বর লোগাং ইউপির লোগাং বাজারের মৃত শরিয়ত খানের ছেলে জলিল খান। বয়স তার ৩৫। অভারের তাড়নায় পঞ্চম শ্রেণির গণ্ডি পেরোতে পারেনি। সংসারের অভিভাবক মা ও বাবা দুজনেই মারা গেছে। তাই অভিভাবকহীন জলিল ছেলেবেলা থেকেই লেখাপড়ার বদলে শুরু করে দিনমজুরি। এরই মাঝে বিগত সাত বছর আগে উপজেলা পরিষদ এলাকার রাস্তার পাশে দূরসম্পর্কীয় মামা মোস্তফার চায়ের দোকানে চাকরি নেয়।

বাবার কোনো জায়গা জমি না থাকায় দুই মেয়ে ও সহধর্মিণীকে নিয়ে উপজেলার পাশেই ভাড়া ঘরে তাদের বসবাস। চা দোকানের কাজের ফাঁকে জলিল খুঁজে পায় একটি পেপারের টুকরো। উল্টে-পাল্টে দেখে তাতে লেখা রয়েছে দেশের ৬৪টি জেলার নাম। অবসর সময়ে সে জেলার নামগুলো মুখস্থ করে।

মিনিটের মধ্যেই না দেখে বলতে পারে সে ৬৪ জেলার নাম। উপজেলা এলাকায় অনেকে তাকে 'কম্পিউটার জলিল' বলেও ডাকে। চা বানানোর ফাঁকে তার সাথে কথা বলে জানা যায়, ৬৪ জেলার পাশাপাশি সে অর্ধশতাধিক থানার নামও রপ্ত করেছে। লেখাপড়ার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অভাবের সংসারে তা হয়নি। তার সখ অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে আসমা ও দুই বছর বয়সী জুঁইকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করা। স্বল্প বেতনে চায়ের দোকানে কাজ করে তার আশা কতটুকু পূরণ হবে তা নিয়ে সে চিন্তিত।

পানছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুজিত মিত্র চাকমা জানান, তার মেধা আছে এবং চেষ্টা করেছে বিধায় এটা সম্ভব হয়েছে। এলাকার অনেকের দাবি হানিফ সংকেতের ইত্যাদি অনুষ্ঠানে যাওয়ার যোগ্যতা তার রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ