ধর্ষণ বন্ধে প্রচার চালাতে জেলায় জেলায় ঘুরছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী
ধর্ষণ বন্ধে প্রচার চালাতে পথে নেমেছেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এলিনা আহমেদ। গত ২০ জানুয়ারি একটি সাইকেল নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন। সাইকেলের সামনে লেখা ‘ধর্ষণ বন্ধ, স্টপ রেপ’ প্ল্যাকার্ড ঝোলানো। প্রথম দিন তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে ময়মনসিংহে যান। শনিবার যশোর যাওয়ার পথে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে যাত্রাবিরতি দেন তিনি।
এসময় এলিনা আহমেদ বলেন, ‘দিন দিন ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। একদিকে মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, অন্যদিকে ধর্ষকের বিচার হচ্ছে না। সুস্থ সমাজের জন্য সুস্থ মানসিকতা দরকার। ধর্ষণ বন্ধে প্রচার চালাতে তাই রাজপথে নেমে পড়েছি।’
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে এলিনা যাত্রাবিরতি দেন। আলাপকালে তিনি আরও বলেন, বগুড়ার শেরপুরে তার গ্রামের বাড়ি। সামাজিক অবক্ষয়ের কথা ভেবে তিনি বসে থাকতে পারেননি। তাই ধর্ষণ বন্ধে ২০ জানুয়ারি একটি সাইকেল নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন। সাইকেলের সামনে ‘ধর্ষণ বন্ধ, স্টপ রেপ’ প্ল্যাকার্ড ঝোলানো ছিল।
প্রথম দিন তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে ময়মনসিংহে যান। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে দ্বিতীয় দিন চলে যান হালুয়াঘাট উপজেলায়। ওই দিন গফরগাঁও উপজেলা হয়ে শেরপুর জেলায় যান। সেখান থেকে জামালপুর জেলা হয়ে মধুপুর দিয়ে টাঙ্গাইল জেলা শহরে যান। সেখানে রাত কাটিয়ে পৌঁছান মানিকগঞ্জ জেলায়। শনিবার মানিকগঞ্জ থেকে যাত্রা করেন তিনি, গন্তব্য যশোরের বেনাপোল।
এলিনার দাবি, ২০১৮ সাল থেকে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে গেছে। এ ধরনের যতগুলা ঘটনা ঘটেছে, প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। ধর্ষণের ঘটনা বন্ধে পুরুষদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, মেয়েদের আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। আত্মরক্ষার কৌশল শিখতে হবে। একজন নারীর একা চলতে হলে কিছুটা আত্মরক্ষার কৌশল জানা দরকার বলে তিনি মনে করেন। যাত্রাপথে বিভিন্ন স্থানে বিরতি দিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। সবাই তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছেন বলে তিনি জানান।
এলিনা আহমেদ বলেন, এর আগে ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের শাহপরীর দ্বীপ থেকে তিনি পঞ্চগড় পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে যান। ২০১৯ সালে বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি আবার সাইকেল নিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণে বের হয়েছিলেন।
গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যেভাবে প্রচার চালাচ্ছেন, এ থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত।’