২০৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ, ঘরের মাঠেও কি হারবে মিরাজের দল?
টানা ৪টি সিরিজ পরাজয়, সবশেষ ১২ ম্যাচে কেবল একটি জয়, এশিয়া কাপে ব্যর্থ মিশন আর বিমানবন্দরে সমর্থকদের দুয়োধ্বনি; সবমিলিয়ে হতাশার সুর মুছে নতুন শুরুর প্রত্যয়ে ঘরের মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই শুরুতেও যেন স্বপ্নময় কিছুই মিলল না। চিরচেনা হোম অব ক্রিকেটেও ব্যাটিং বিপর্যয়ের গল্প। ওয়ানডেতে যেন টেস্টই দেখলেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯ দশমিক ৪ ওভারে ২০৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে ৩ বাউন্ডারিতে ৯০ বলে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন তাওহীদ হৃদয়। এ ছাড়া ৪৬ রান করেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাউন্ডারিসহ ৭ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই শুরু বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। দ্বিতীয় ওভারেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাইফ হাসান। ইনফর্ম এই ওপেনার ৬ বল খেলে ৩ রানের বেশি করতে পারেননি।
পরের ওভারেই ফিরেছেন সৌম্য সরকারও। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন জেইডেন সিলস। সেখানে জায়গায় দাঁড়িয়ে কভার পয়েন্টের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সৌম্য। টাইমিং না হওয়ায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রোস্টন চেজের হাতে ধরা পড়েন। এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এক চারে ৬ বলে ৪ রান এসেছে।
৮ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৭১ রান। ৩২ রান করে শান্ত ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
শান্ত থিতু হয়ে ফিরলেও ব্যক্তিগত ফিফটি পেয়েছেন হৃদয়। এই মাইলফলক ছুঁতে ৮৭ বল খেলেছেন তিনি। কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করলেও উইকেট বিবেচনায় হৃদয়ের এই ইনিংস কার্যকরী ছিল। ফিফটির পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। সবমিলিয়ে ৯০ বলে করেছেন ৫১ রান।
হৃদয়ের পর দায়িত্ব নিয়ে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন অঙ্কন। অভিষিক্ত এই উইকেটকিপার ব্যাটার ফিফটির কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়েছেন। ইনিংসের ৪৬তম ওভারে রোস্টন চেইজকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন। তার আগে ৭৬ বলে করেছেন ৪৬ রান।
অঙ্কন ফেরার পর দুইশ স্পর্শ করা নিয়েও শঙ্কা জেগেছিল। তবে শেষদিকে রীতিমতো ঝড় তোলেন রিশাদ হোসেন। এক চার আর দুই ছক্কায় ১৩ বলে ২৬ রান করেছেন তিনি। তাতে দুইশ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ।