টানা দুই জয়ের পর এবার পরাজয় দেখল বাংলাদেশ
স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৭৫ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর দক্ষিণ আফ্রিকা দলও হেসেখেলে জয়ের পরিস্থিতিতে ছিল। ২ উইকেট খুইয়েই ১৪১ রান তুলে ফেলেছিল তারা।
অবশ্য ম্যাচের শেষদিকে প্রোটিয়াদের চেপে ধরেছিল সফরকারীরা। কিন্তু পরাজয় এড়ানো যায়নি। লড়াই করেও শেষমেশ ৫ উইকেটে হেরেছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। এতে জিম্বাবুয়েতে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা দুই জয়ের পর তিনে তিন হলো না বাংলাদেশের।
এই জয়ে ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষে উঠে এল প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দুইয়ে বাংলাদেশ। এছাড়া তিন ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচও জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) হারারেতে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে খানিকটা ধীর শুরু করেছিল প্রোটিয়া যুবারা। ব্যক্তিগত ৬ রানেই ওপেনার শালকউইককে সাজঘরের পথ দেখান আল ফাহাদ। অবশ্য মিডল-অর্ডারের দৃঢ়তায় জয়ের দ্বারপ্রান্তেই ছিল প্রোটিয়ারা। ৩৯ রান করেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ বুলবুলিয়া। এছাড়া তিনে নামা আরমান মানাক ৫৭ আর অধিনায়ক জেসন রয়েলস ৪১ রানের ইনিংস খেলে জয়ের পথ মসৃণ করেন।
বাংলাদেশের হয়ে পেসার আল ফাহাদ ২৯ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭৫ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ২২ রানের মধ্যেই ফেরেন দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার (৭) আর রিফাত বেগ (৯)।
এরপর রিজানকে নিয়ে বিপর্যয় অনেকটা সামলে উঠেছিলেন অধিনায়ক তামিম। তবে রিজান ৩৮ বলে ১৭ করে ফেরার পরই আসা-যাওয়ার মিছিলে নেমে পড়েন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ৮১ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৫৯ রান করে তামিম।
অন্যপ্রান্তে একার লড়াই জিইয়ে রেখেছিলেন কালাম সিদ্দিকী। ৬১ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার জেসন রয়েলস তিনটি এবং এনটানডো সনি ও বায়ান্ডা মাজুলা দুটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৪.৫ ওভারে ১৭৫ (আজিজুল হাকিম ৫৯, কালাম সিদ্দিকী ৪৯*, রিজন হোসেন ১৭; রোলেস ৩/৩৫, মাজোলা ২/৩১)।
দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৩৬.৫ ওভারে ১৭৬/৫ (ম্যানাক ৫৭, রোলেস ৪১, বুলবুলিয়া ৩৯; ফাহাদ ৩/২৯, দেবা ১/১৮)। ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫ উইকেটে জয়ী।