০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৩৫

‘আমাকে কেউ বললো না ভাই রিভিউটা নেন’

সংবাদ সম্মেলনে সাকিব  © সংগৃহীত

তখন কাভারে ফিল্ডিং করছিলেন সাকিব আল হাসান। অতদূর থেকে অন্তত তাঁর বোঝার উপায় ছিল না যে বল কুশল মেন্ডিসের ব্যাট বা গ্লাভস ছুঁয়ে গেছে কিনা। বোঝার জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গায় ছিলেন যিনি, সেই মুশফিকুর রহিমও ইশারায় জানিয়ে দিলেন যে তিনি কিছুই শোনেননি। তাই রিভিউও আর নেয়নি বাংলাদেশ।

একটু পরেই টিভি রিপ্লে জানিয়ে দেয় যে তা না নেওয়ার ভুলেই লঙ্কান ব্যাটারকে আরো এগিয়ে যাওয়ার পথ করে দেওয়া হয়েছে। আল্ট্রাএজে ধরা পড়ে বল তখন ৩১ রানে থাকা মেন্ডিসের গ্লাভসে ঘষা দিয়ে গেছে। ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, তাকে রিভিউ নেওয়ার কথা বলেনি কেউ।

সাকিব জানান, ‘কেউই শোনেনি আসলে। (আমি) কাভারে ছিলাম, শুনতেই পাইনি। কেউই বলেনি যে ভাই রিভিউটা নেন। বোলার থেকে শুরু করে কেউই না।’

আরও পড়ুন: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ হেরে বিদায় বাংলাদেশের

বোলাররা এই ম্যাচে চারটি নো বল করেই বরং অধিনায়কের বিরক্তির কারণ হয়েছেন বেশি। এর মধ্যে পেসার এবাদত হোসেন করেছেন দুটো। অন্য দুটো করেছেন শেখ মেহেদী। তাঁকেই অধিনায়কের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে বেশি। মেহেদীর নো বলে কুশলের বেঁচে যাওয়াই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কিনা, এমন প্রশ্নও উঠলো। এই সুযোগে সাকিব অপরাধের বিষয়টি উল্লেখ করলেন আবার, ‘টার্নিং পয়েন্ট তো হতেই পারে। ব্যাটার যখন আউট হয়ে গেছে। স্পিনারের নো বল করা অবশ্যই ক্রাইম। ’ 

বাংলাদেশের স্পিনারদের এরকম ‘ক্রাইম’ করতে সচরাচর দেখা যায় না। তাহলে শেখ মেহেদী কী কারণে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই 'ক্রাইম' করে বসলেন? জবাবটা জানেন সাকিব। তাঁর মতে, চাপে ভেঙে পড়াই এর কারণ, ‘আমাদের স্পিনাররা এরকম করে না সাধারণত। বোঝা গেল চাপে আমরা এখনো কতটা ভেঙে পড়তে পারি। এখানে উন্নতি করতে হবে আমাদের। স্কিলের দিক দিয়ে তো উন্নতি করার আছেই। তবে চাপ আসলেই আমরা ভেঙে পড়ি, চাপের মুহূর্ত এলেই হেরে যাই। এসব ম্যাচের ৫০ শতাংশ জিতলেও কিন্তু আমাদের রেকর্ড অনেক ভালো থাকতো। ’