২৯ আগস্ট ২০২২, ০০:১৭

পাকিস্তানকে হারালো ভারত

ব্যাটিং করছেন জাদেজা  © সংগৃহীত

ঠিক ১০ মাস ৫ দিন আগে এই দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপে নড়বড়ে শুরুটা হয়েছিল ভারতের। এশিয়া কাপে সেটা হতে দিল না রোহিতের দল। তবে এই জয়টা সহজ হয়নি ভারতীয়দের। স্নায়ুক্ষয়ী এই লড়াইয়ে শেষ ওভারে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। তাতে বিশ্বকাপের সেই হারের শোধটাও তোলা হয়ে গেছে ভারতের।

১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় ভারত। অভিষিক্ত নাসিম শাহর করা দ্বিতীয় বলে বোল্ড হন লোকেশ রাহুল। কাট করতে গিয়ে বল উইকেটে টেনে আনেন রাহুল (১ বলে ০)।

এরপর বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা বেশ কয়েকবার পরাস্ত হয়েছেন। তবে ভাগ্যগুণে আউট হওয়া থেকে বেঁচে গেছেন দুজনই। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ভারত তোলে ১ উইকেটে ৩৮ রান।

সপ্তম ওভারে শাদাব খান দেন মাত্র ৩ রান। রানের চাপ কমাতে পরের ওভারে মোহাম্মদ নেওয়াজের ওপর চড়াও হন রোহিত। লংঅনের ওপর দিয়ে হাঁকান বিশাল এক ছক্কা। তবে এক বল পর আরেকটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই বিপদ ডেকে এনেছেন ভারতীয় দলপতি।

মিডঅফে তুলে মারতে গিয়ে ঠিকমতো ব্যাটে-বলে করতে না পেরে লংঅনে ক্যাচ হন রোহিত। তাতেই থামে তার ১৮ বলে ১২ রানের ধীরগতির ইনিংসটি। এক ওভার পর আরেক সেট ব্যাটার কোহলিকেও ফেরান নেওয়াজ। ৩৪ বলে ৩৫ করে লংঅফে ধরা পড়েন কোহলি।

১১ থেকে ১৪-চার ওভারে মাত্র ২৭ রান তুলতে পারে ভারত। সেই চাপ থেকে সূর্যকুমার ১৫তম ওভারে চড়াও হতে চান নাসিম শাহর ওপর। কিন্তু ওভারের দ্বিতীয় বলটি ক্রস খেলতে গিয়ে পুরোপুরি মিস করে বসেন ডানহাতি এই ব্যাটার, বোল্ড হয়ে ফেরেন ১৮ বলে ১৮ করে।

এর আগে ভুবনেশ্বর-হার্দিকদের তোপে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ১৪৭ রানেই অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান। অর্থাৎ জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ১৪৮।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মা অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমারের হাতে তুলে দেন প্রথম ওভার।

টস জিতে অধিনায়ক রোহিত জানিয়েছিলেন, উইকেটে থাকা ঘাসের ব্যবহারটা করতে চান তিনি। হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমাররা সেটা করলেনও! তৃতীয় ওভারে ভুবনেশ্বরের শর্ট বলে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ১০ রানে বিদায় নেন বাবর আজম। 

এরপর আবেশ খানের লাফিয়ে ওঠা বলে ব্যাট আলতো ছুঁইয়ে ফখর জামানের ‘ওয়াক’, কিংবা ইনিংসের ১৩তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার লিফটারে ইফতিখার আহমেদের বিদায়, অথবা এক ওভার পর সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট, তার সবকটি উইকেটেই কৃতিত্ব ছিল ভারতীয় বোলারদের করা শর্ট বলের। ১০০ ছোঁয়ার আগে যে বিদায় নিলেন খুশদিল, সেটাও ছিল এক শর্ট বলেই।

রিজওয়ান, ইফতিখার আর খুশদিলকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন পান্ডিয়া। বাকি কাজটা সেরেছেন ভুবনেশ্বর। শুরুতে বাবরকে ফেরানো এই পেসার এরপর একে একে ফিরিয়েছেন বিপদজনক আসিফ আলি আর শাদাব খানকে। তাতে পাকিস্তানের গড়পড়তা সংগ্রহও দুষ্কর বলে মনে হচ্ছিল। ১২৮ রানেই যে খুইয়ে বসেছিল ৯ উইকেট! সেখান থেকে শাহনেওয়াজ দাহানির দুই ছক্কায় করা ৬ বলে ১৬ আর হারিস রউফের ৭ বলে ১৩ রানের ছোট্ট দুই ক্যামিওতে দেড়শ ছোঁয়া সংগ্রহ পায় দুই বারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নরা। ভারতের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ১৪৮ রানের।