টাইগারদের দুই শতাধিক টার্গেট দিলো জিম্বাবুয়ে
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ইনিংসে গড়ে ১৬০ রান ওঠে। তবে টাইগারদের সামনে বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে দল।
যদিও প্রথম দশ ওভারে তেমন একটা স্কোরের ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছিল না। ১০ ওভার শেষে ২ উইকেট খুইয়ে ৭৪ রান করে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে দল। তবে ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলকে ২০৬ রানের টার্গেট দিয়েছে জিম্বাবুয়ে দল। এর আগে, নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রানের স্কোর করে জিম্বাবুয়ে দল।
এর আগে, বাংলাদেশ দলের অষ্টম অধিনায়ক হিসেবে টস করতে নামেন নুরুল হাসান সোহান। তবে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি বাংলাদেশ দলের। টসে হেরে বোলিংয়ে নামে টাইগাররা।
টাইগার দলপতি নিজের প্রথমে ম্যাচে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৫ জন বোলার ব্যবহার করেন। তবে তৃতীয় ওভারেই মেলে সাফল্য। টাইগারদের পেসতারকা মুস্তাফিজুর রহমান শুরুতেই ওপেনার রেগিস চাকাভাকে ফেরান। ১১ বলে ৮ রান করে ফেরেন চাকাভা।
ম্যাচের সপ্তম ওভারে আরেক ওপেনারকে ফেরান অফ স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন। ১৮ বলে ২১ রান করেন তিনি। ৪৩ রানে ও ১ উইকেট হারানোর পর সফরকারী বোলারদের ওপর চড়াও হন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা।
ব্যাট হাতে ঝড় তোলা উইলিয়ামসকে অবশ্য থামান মুস্তাফিজ। ৪ চার ও ১ ছয়ে ১৯ বলে ৩৩ রান করেন তিনি।
এরপর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে ব্যাট চালিয়ে খেলেন। ৬ চারে ৩৭ বলে অর্ধশতক তুলে নেন মাধভের। ফিফটি পূর্ণ করার পর বাংলাদেশি বোলারদের ওপর আরও চড়াও হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৫ চার ও ৩ ছয়ে মাত্র ২৩ বলে ফিফটি কোটা পূর্ণ করেন রাজা।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন রাজা। যেখানে ৭টি চার ও ৪টি ছয় মারেন। এতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২০৫ রানের পুঁজি পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে চার ওভারে ৫০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নান মুস্তাফিজ। সমান ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য তাসকিন।