সাকিবের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনে মায়ের ভূমিকা
সাকিবের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনে মায়ের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। কখনও কোচিং এর ফাঁকে, বাবার চোখ এড়িয়ে সাকিব কে নিয়ে যেতেন ক্রিকেট মাঠে। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে ফুটবলার হবে। কিন্তু সাকিবের স্বপ্ন ক্রিকেটার। তাই সবকিছুর মাঝেই সাকিবের পাশে থেকে বানিয়েছে বড় ক্রিকেটার।
ছোটবেলায় সাকিব ছিল খুব শান্ত। আমার কথা শুনত। খেলার জন্য খুব বাইরে যেতে চাইত। একটু বড় হওয়ার পর তো ক্রিকেট খেলার জন্য বাইরে যেত। যখন আরও ছোট ছিল ক্রিকেট বুঝত না, তখন বাবার সাথে বাইরে চলে যেত ফুটবল খেলতে। বাবার মতোই ফুটবলের নেশা ছিল।
সাকিবের ফুফাতো ভাই ছিল উজ্জ্বল। তার দেখাদেখি ফুটবল খেলত। এরপর বাইরে গিয়ে ক্রিকেট খেলাটা সম্পর্কে জানল। পাড়ায় অনেকে খেলাধুলা করত। সেখান থেকে কিভাবে যেন ক্রিকেট খুব পছন্দ করা শুরূ করল। ছেলেদের খেলা দেখে ক্রিকেট শুরু করে দিল। তখন ক্রিকেট খেলা করার জন্য শুধু বাইরে যেতে চাইত।
আমরা কোনসময় নিষেধ করতাম না। এমনিতে খেলার সময় খেললে ঠিক আছে। কিন্তু সাকিব পড়ার সময় ,খাওয়ার সময়; সবসময় ক্রিকেট খেলতে চাইত। তাই আমরা মাঝেমধ্যে নিষেধ করতাম। সাকিব সেটা শুনত না ও সারাক্ষণ ক্রিকেট নিয়ে থাকত। এমনিতেও পড়াশোনা তে খুব ভালো ছিল সাকিব। ক্লাসে সবসময় ফার্ষ্ট বা সেকেন্ড হত। এইজন্যই তো মনে হত খেলা করতে গিয়ে পড়াশোনাটা নষ্ট হয়ে না যায়।
আরও পড়ুন: বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশের ক্যাপ পেলেন মুশফিক
সাকিবের বাবা নিজে ফুটবল খেলতেন তো তাই উনি চাইতেন ফুটবলার হোক। আবার উনার ভাগ্নে উজ্জ্বল জাতীয় দলে খেলত। আর তখন তো ক্রিকেট সম্পর্কে মানুষ তেমন জানত না। সাকিবের বাবাও এত ভালো জানতেন না। কারণ তখন বাংলাদেশে ক্রিকেট নিয়ে এত মাতামাতি ছিল না। তাই উনি রাগ করতেন সাকিব ক্রিকেট খেলেলে। খেলার বাইরেও সাকিব তেমন আড্ডা দিত না। একটু বড় হওয়ার পর বাসা তেই থাকতে চাইত না। সারাদিন খেলা নিয়েই মেতে থাকত। বাসার সামনে বন্ধুবান্ধব রা মিলে সবসময় পারলে ক্রিকেট খেলে। আবার অকে সময় দূরেও যেত।
সাকিবের মা আরও বলেন, আমি ওকে খাইয়ে দিতাম, ও তখন বল নিয়ে ওপরে ছুড়ে দিত আর ধরত। আমি জুতোর ফিতা বেঁধে দিতাম ,জামা পড়িয়ে দিতাম। সাকিব ওই সময় বল নিয়ে একা একা খেলত।