স্কটল্যান্ডে একযোগে পদত্যাগ করলেন ক্রিকেট বোর্ডের সব সদস্য
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য! সব সদস্যকে নিয়ে একযোগে পদত্যাগ করেছেন স্কটল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট।
আর প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই বোর্ডের সবাই একসঙ্গে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
ইএসপিএন ক্রিক ইনফো ও দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত বছর স্কটল্যান্ড বোর্ডের বিরুদ্ধে দেশটির সাবেক ক্রিকেটার মজিদ হক প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদের অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে গঠিত হয় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি। আগামীকাল সোমবার সেই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই আজ টুইটারে একযোগে বোর্ডের সব সদস্য পদত্যগের ঘোষণা দেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্কটল্যান্ডের জার্সিতে দুই শতাধিক ম্যাচ খেলা মজিদ শেখ গত বছর স্কাই স্পোর্টসে এই বর্ণবাদের অভিযোগ তোলেন। তাকে সমর্থন দেন তার সতীর্থ কাশিম শেখ। এরপর তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দাবি, তদন্তে নাকি স্কটিশ বোর্ডের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে সেই কমিটি। এছাড়া পদত্যাগকারী বোর্ড সদস্যদের বিবৃতিতেও আছে বর্ণবাদের অভিযোগের সত্যতার পরোক্ষ প্রমাণ।
আরও পড়ুন: কেন এমন অদ্ভুত বেশভূষায় সাকিব?
বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী গর্ডন আর্থুরকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে তারা লিখেছেন, ‘এই প্রতিবেদন থেকে যা আসবে, সেসব কার্যকরী করতে বোর্ড বদ্ধপরিকর ছিল। যারাই ক্রিকেট স্কটল্যান্ডে বর্ণবাদ অথবা যে কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাদের কাছে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং এর আগেই প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছি। আমাদের বিশ্বাস, সামনের দিনগুলোতে প্রয়োজনীয় উন্নতির জন্যই আমাদের সরে দাঁড়ানো উচিত।’
২০১৫ সালের বিশ্বকাপ থেকে হুট করেই মজিদ হককে দেশে পাঠায় স্কটিশ টিম ম্যানেজমেন্ট। এর পর আর জাতীয় দলে নিজেকে যুক্ত করতে পারেননি মজিদ। গত বছর মজিদ বোর্ডের বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন।
৫৪ ওয়ানডে ও ২১ টি-টোয়েন্টিতে থেমে যায় তার ক্যারিয়ার। এ দুই ফরম্যাটে যথাক্রমে ৬০ ও ২৮ উইকেটে রয়েছে তার।
কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বর্ণবাদের অভিযোগে টালমাটাল হয়েছিল। আর বর্ণবাদ বিরোধী প্রতিবাদ না করে বিতর্কিত হয়েছিলেন প্রোটিয়া তারকা কুইন্টন ডি কক।