ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরিতে দলকে বাঁচালেন বাবর আজম
সম্প্রতি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ বাঁচিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। এবার শ্রীলঙ্কার মাটিতে দেখা গেল তার আরেকটি অসাধারণ সেঞ্চুরি। যার ফলে গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তান বড় বিপদ থেকে আপাতত বেঁচে গেল। ১১৯ রানের ইনিংস খেলা বাবর আউট হন শেষ ব্যাটার হিসেবে।
ব্যাট করতে নেমে দারুণ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তানিরা। ৭৩ রানে নেই ৫ উইকেট, ৮৫ রানে নেই ৭ উইকেট। ১৪৮ রানে পড়ে যায় ৯ উইকেট। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ২২২ রানের জবাবে পাকিস্তান ইনিংস শেষ করতে পেরেছে ২১৮ রানে। কিন্তু যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরিটা করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক, সেটি তাঁর ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা গল্প হয়েই থাকবে।
তা-ও এমন দিনে সেঞ্চুরিটা এল, যেদিনে ইনিংসে ২১ রান করার পথেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়েছেন বাবর, সেটিও রেকর্ড গড়েই। মাইলফলকটাতে পাকিস্তান তো বটেই, এশিয়ার ব্যাটসম্যানদের মধ্যেই দ্রুততম বাবর (২২৮ ইনিংস), সব মিলিয়ে ক্রিকেট ইতিহাসে পঞ্চম দ্রুততম।
আরও পড়ুন: এবার পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা দেখছেন ওয়াকার
পাকিস্তানের ইনিংসও ততক্ষণে শেষ। ২১৮ রানে অলআউট হলো তারা। যেখানে বড় লিডের স্বপ্ন দেখছিল লঙ্কানরা, সেখানে তারা লিড পেলো মাত্র ৪ রানের। পাকিস্তানের ২১৮ রানের মধ্যে একাই ১১৯ রান করলেন বাবর। বাকিরা সবাই মিলে করলেন ৯৯ রান।ক্যারিয়ারে এটা বাবরের ৭ম টেস্ট সেঞ্চুরি। তবে একের পর এক ম্যাচে যেভাবে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন পাকিস্তান অধিনায়ক, তাতে এরই মধ্যে কিংবদন্তির কাতারে তার নাম লিখে দিতে শুরু করেছে ক্রিকেট বোদ্ধারা। পাকিস্তানি ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল মোহাম্মদ রিজওয়ানের, ১৯। ১৮ রান করেন ইয়াসির শাহ, ১৭ রান আসে হাসান আলির ব্যাট থেকে।
শুধু বাবর না। এই ইনিংসে লঙ্কান স্পিনার প্রবাথ জয়সুরিয়া ও কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসে ৬টি করে মোট ১২ উইকেট নিয়ে হয়েছিলেন অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক।সে ধারাবাহিকতা পাকিস্তানের বিপক্ষেও ধরে রাখলেন তিনি। বাবরদের বিপক্ষে তিনি একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। এখনও পর্যন্ত তিন ইনিংসে বোলিং করে প্রতিটিতেই উইকেট নিলেন ৫ কিংবা তারও বেশি করে। জয়সুরিয়া ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন মহেশ থিকসানা এবং রমেশ মেন্ডিস। ১ উইকেট নেন কাসুন রাজিথা।