এতেতো কেয়ামত হয়ে যায়নি: কাজী সালাউদ্দিন
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন- বড় বড় ক্লাবে খেলেছেন। বাংলাদেশ ফুটবলের সুপার স্টার ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম বিদেশি ক্লাবে খেলতে যান।
আর ৮ মাস পরেই কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ফুটবল বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের ফুটবল দলকে ২০২২ সালের বিশ্বকাপে খেলাবেন, দায়িত্বে এসে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি। কিন্তু বাস্তবতা হল, বাংলাদেশ জাতীয় দলটি ফুটবল বিশ্বের একেবারে পেছনের দিকের দলগুলোর একটি।
প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারার বিষয়ে সম্প্রতী বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘পারি নাই। কিন্তু এতেতো কেয়ামত হয়ে যায়নি!’
তিনি বলেন, ‘আমি কোন ম্যাজিশিয়ান নই। আমি টেকন্যাশিয়ান। চেস্টা করছি।’
এক সময় ক্রিকেট, ফুটবল দুটিই খেলতো কাজী সালাউদ্দিন। পরে ফুটবলটাকেই বেছে নেন। কেন ফুটবল বেছে নেন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের সময়ে ক্রিকেট ছিলো বড় লোকের খেলা। এটা সাধারন মানুষের খেলা ছিলনা। ফুটবল ছিলো সারা বিশ্বে জনপ্রিয় খেলা। এখনও ২১১টি দেশ ফুটবল খেলে ক্রিকেট ১২-১৩টি দল। এতগুলা দেশের মধ্য ফুটবল খেলাটা অনেক চ্যালেঞ্জের ছিলো আমি সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছি।’
বাংলাদেশ ফুটবলের সোনালী যুগ এবং এখনকার মধ্য কি পার্থক্য সেই প্রশ্নে জবাবে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘একটা মাত্র পার্থক্য সেটি হচ্ছে দর্শক। মাঠে খেলাগুলোতে কোন লোক হয়না। মিডিয়াও একটি সমস্যা। পত্রিকা, টেলিভিশনে খেলা না দেখে খেলা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এতে মানুষের খেলার প্রতি আগ্রহটা নষ্ট হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করলো যে ২৯টি দেশ
তিনি আরও বলেন, ‘২০-৩০ বছরে মধ্য দেখা গেছে যে দলগুলোকে আমরা আগে সহজে হারাতে পারতাম এখন পারছিনা। তারা তাদের ফুটবলের পিছনের এক বছরে যেই অর্থ খরচ করছে আমারা সেটা ৪ বছরেও পারছিনা।’
ফুটবলের প্রতি অন্য দেশের মানুষের আগ্রহ নিয়ে বলেন, ‘মালদ্বীপে যখন খেলা হয় তখন তারা সবাই জার্সি পড়ে, ব্যান্ড বাজিয়ে খেলা দেখতে যায়। আমরা এখনও সেই জায়গায় যেতে পারিনি।’
জাতীয় দল নিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘এখন ন্যাশনাল টিমে খেলার জন্য খেলোয়াড়দের আগ্রহ নেই। কারণ জাতীয় দলে খেললে বদনাম। ক্লাবে খেললে টাকাও বেশি পায়। আমি অলয়েজ যুদ্ধ করছি। ভালো কোচিং স্টাফের জন্য, ভালো মাঠের জন্য। দেশে কোথাও ভালো মাঠ নেই।’
বাফুফের দায়িত্ব গ্রহন প্রসঙ্গে বলেন, ‘যখন দেশে ফুটবল লীগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তখন আমি বাফুফে নির্বাচন করি। সভাপতি হই। আমার ১২ বছরে কোনবার দেশে লীগ মিস হয়নি। এটা আমার বড় অর্জন।’
দেশের ফুটবল নিয়ে এখনও আশাবাদী সালাহ উদ্দিন। ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বলেন, ‘আমি এতদিন যে কাঠামো তৈরী করেছি সেটি এখন দৃশ্যমান। আগামী ৬-৭ বছরের মধ্য বাংলাদেশ ফুটবল একটি ভালো অবস্থানে যাবে।’