২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:৫৯

আফিফ-মিরাজের ব্যাটে আশা দেখছে বাংলাদেশ

আফিফ-মিরাজের ব্যাটে আশা দেখছে বাংলাদেশ  © সংগৃহীত

জয়-পরাজয়ের হিসাব অনেক পরে। তবে দলের সিনিয়র ছয় ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতার পর আফিফ-মিরাজ জুটি যেভাবে দলের হাল ধরেছেন। সেটি দেখেও চোখের শান্তি। আফগানিস্তানের দেওয়া ২১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ।

বিদায় নিয়েছেন প্রথম সারির ৬জন! খাদের কিনারে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে আফিফ-মিরাজ জুটিতে। দুজনের লড়াকু ব্যাটিংয়ে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩৬.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান তুলে ফেলেছে স্বাগতিকরা।

অথচ এক ফজলহক ফারুকির পেস বোলিংয়েই খেই হারায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। ২৮ রানে পড়ে ৫ উইকেট! পরে মাহমুদউল্লাহও বিদায় নেওয়ায় সাজঘরে ফিরেছেন ৬জন। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জয়ের পরিস্থিতি তৈরি করা অবিশ্বাস্য একটি কাজ। সেটিই করে দেখাচ্ছেন দুই তরুণ।

ইতিমধ্যে মিরাজের আগেই অর্ধশত পূর্ণ করেছেন আফিফ। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত আফিফ ৮৪ বলে ৫৮ রান অন্যদিকে মিরাজ ৮০ বলে ৫৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।

চট্টগ্রামে শুরুতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম। প্রথম ওভারে মেরেছেন দুটি চার। ছন্দপতন ঘটে তৃতীয় ওভারেই। ফারুকির তৃতীয় বলে শুরুতে গ্লাভসবন্দি হন লিটন (১)। আফগানিস্তান রিভিউ নেওয়ার পরেই আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। এক বল বিরতি দিয়ে এলবিডাব্লিউ হন তামিমও (৮)। শুরুতে অবশ্য অনফিল্ড আম্পায়ার আউট দেননি। সফরকারীরা রিভিউ নেওয়ার পর মিলেছে সাফল্য।

দুই ওপেনার ফেরার পর মুশফিক পরিস্থিতি সামাল দেবেন কী? উল্টো নিজেই ফাঁদে পড়েন এলবিডাব্লিউর। পঞ্চম ওভারে ফারুকির ভালো লেংথের বল খেলতে গিয়ে পুরোপুরি পরাস্ত হয়েছেন। রিভিউ নিয়েও তার শেষ রক্ষা হয়নি! ফিরেছেন মাত্র ৩ রানে। বিপদ পড়ে যাওয়া পরিস্থিতিতে অভিষিক্ত ইয়াসির আলীও দাঁড়াতে পারেননি।

একই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়েছেন রানের খাতা না খুলে! বিপর্যয়ের সেই শুরু। অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানও সাজঘরের পথ ধরলে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ১০ রানে মুজিবের বলে আন্ডার এজ হয়ে বোল্ড হয়েছেন বামহাতি অলরাউন্ডার!

ধ্বংসস্তূপ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাননি মাহমুদউল্লাহ-আফিফও! কিছুক্ষণ ক্রিজে থেকেও থিতু হতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বরং রশিদ খানের ঘূর্ণিতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৮ রানে। তবে চাপের মাঝে থেকেও বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টায় রয়েছেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।