নাটকীয় ম্যাচে ব্রাজিলকে রুখে দিলো ইকুয়েডর
৩২টি ফাউল আর দুইটি লাল কার্ডের ম্যাচে ব্রাজিলকে আটকে দিলো ইকুয়েডর। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। ম্যাচে ভিএআর এ সিদ্ধান্ত বদলও হয়েছে দুইবার। এই ম্যাচে খেলেননি ব্রাজিলের তারকা খেলোয়াড় নেইমার। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার ৮৫০ মিটার উঁচুতে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ক্যাসেমিরোর গোলে মাত্র ছয় মিনিটে এগিয়ে যায় সেলেসাওরা। ফেলিপে কৌতিনিওর বলে হেড করেন ম্যাথিউস কুনহা। সেটা কোনোরকমে বাঁচান ইকুয়েডর গোলরক্ষক। বল পেয়ে ডান পায়ের আলতো টেকায় গোলবারের কাছ থেকে নেওয়া শটে গোল করেন ক্যাসেমিরো। তবে ম্যাচের প্রথম মিনিটেই মোইজেজ কাইসেদোকে বাজে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের এমারসন। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বল ক্লিয়ার করতে শট নেন আলেকসান্দের ডমিঙ্গেজ। কিন্তু তা পা বলে তো লাগেইনি উল্টো ডি-বক্সের মুখে ছুটে আসা প্রতিপক্ষের গলায় বুট দিয়ে আঘাত করে বসেন তিনি। ভিএআরের সাহায্যে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ২০তম মিনিটে এমারসন পুনরায় ফাউল করেন। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
২৬তম মিনিটে ব্রাজিল পড়েছিল আরও বড় বিপদে। ৯ জনের দল হতে বসেছিল তারা। প্রতিপক্ষের পাল্টা আক্রমণ রুখতে ডি-বক্স থেকে বের হয়ে শট নেন এলিসন। কিন্তু একটু পরই তার পা লাগে এনের ভ্যালেন্সিয়ার মাথায়। লাল কার্ড দেখান রেফারি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত বদলে যায় ভিএআরের সাহায্যে।
প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি দু দল। দ্বিতীয়য়ার্ধের ৭৫তম মিনিটে এসে গোলের দেখা পায় তারা। নসালা প্লাতার কর্নারে হেডে গোলটি করেন ফেলিক্স তোরেস।
যোগ করা সময়ে এসে ব্রাজিলের গোলরক্ষক বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার প্রেসিয়াদোর মুখে আঘাত করেন। এরপর তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি, ইকুয়েডরকে দেন পেনাল্টি। কিন্তু সিদ্ধান্ত দুটিই পরে বদলে গেছে।