বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, অলিম্পিক মাতানো যবিপ্রবির জহির জেলে
টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাথলেট ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থী জহির রায়হান এবার নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হলেন। ধর্ষণ মামলায় তাকে হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) জহিরকে হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন গাজীপুরের শিশু ও নারীবিষয়ক ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক। তার বিরুদ্ধে ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’-এর একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে।
জহির রায়হান যবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালের ২১ মে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক নারী ক্রীড়াবিদ। তার অভিযোগ, ২০১৭ সালে সাভার বিকেএসপিতে প্রশিক্ষণ চলাকালে জহিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দেড় বছর তাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
বাদীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯ সালের ৩ মে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করেন জহির। কিন্তু এরপর থেকে বিয়ে নিয়ে জহির টালবাহানা শুরু করেন। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি।
আরও পড়ুন: টোকিও অলিম্পিকে দেশের হয়ে খেলবেন যবিপ্রবি ছাত্র জহির
এরপর ২০১৯ সালের ৫ মে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ করতে যান বাদী। কিন্তু কালিয়াকৈর থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ মামলা গ্রহণ না করায় তিনি গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। এরপর আসামিকে আদালতে হাজির করার জন্য ওয়ারেন্ট জারি করেন আদালত। কিন্তু আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এর মাঝেই গত ২ সেপ্টেম্বর জহিরের বিরুদ্ধে তার কর্মস্থলে আরেকজন নারী ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’-এর অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরিচিত হওয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে জহির ও তার মধ্যে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীর বাসায় গিয়ে দুই দফা ধর্ষণ করেন জহির। এরপর বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন জহির।
আরও পড়ুন: অলিম্পিক থেকে যবিপ্রবির জহিরের বিদায়
অবস্থা বেগতিক দেখে গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জহির জামিন আবেদন করেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তাকে জামিন নামঞ্জুর করে হাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন জহির। এর আগে বিচারের আশায় জহিরের পরিবার ও অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাদী। কিন্তু সেখানেও পাত্তা না পেয়ে তিনি আদালতে যান। এই ঘটনার বিচার দাবি করে গণমাধ্যমকে বাদী বলেন, ‘একজন ধর্ষককে কীভাবে টোকিও অলিম্পিকে পাঠানো হলো?’