মিরপুরে এসেও জয়ের দেখা পেল না টাইগাররা
হোম অব ক্রিকেটে ফিরেও জয়ের দেখা পায়নি মাহমুদউল্লাহরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আশার আলো জ্বলে উঠেছিল মিটমটি করে। কিন্তু সেটা উজ্জ্বল করতে পারলেন না কেউ। বাজে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়ের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু শেষ অবধি সেটা টেনে নিতে পারলেন না।
শুরুতে দাপুটে বোলিংয়ে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করে রেখেছিল বাংলাদেশ দল। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। ক্রিজে নতুন দুই ব্যাটসম্যান শাদাব খান এবং মোহাম্মদ নেওয়াজ। এ ম্যাচে শেষ দিকে এসে খেই হারাল স্বাগতিকরা। আর কোন উইকেট না হারিয়ে ৪ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় পাকিস্তানের।
বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর দেশে ফিরে পাকিস্তানের মুখোমুখি টাইগাররা। চিরচেনা মিরপুরে ফিরে ‘আহত’ বাঘ হয়ে উঠল রীতিমত খ্যাপাটে। মিরপুরে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১২৮ রানে পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানকে প্রায় আটক দিয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হলো না। শাদাব-নেওয়াজের সাহসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচ হারতে হলো ৪ উইকেটের ব্যবধানে।
এদিন আশা দেখিয়ে আরেক দফা হতাশ করলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মোহাম্মদ নেওয়াজের হালকা টার্ন করা বল বেরিয়ে যাওয়ার আগে স্টাম্প ছুয়ে যায়। মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ১১ বলে ৬ রানে। সতীর্থরা যেখানে টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে সাজঘরের পথে, সেখানে কিছুটা আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায় আফিফকে। শুরু থেকে বলের মেধা বিচার করে নিজের শক্তির জায়গা কাজে লাগান এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
ইনিংসের ১১তম ওভারে মোহাম্মদ নেওয়াজকে হাঁকান টানা ২ ছক্কা। যদিও ইনিংসটাকে বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। পরে ফেরেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৬ রান করে। যেখানে ওই ২টি ছয়ের সঙ্গে ২টি চারের মার আসে তার ব্যাট থেকে। আফিফের আউটের পর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৩৫ রান যোগ করেন নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদী হাসান। হাসান আলীর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২২ বলে ২৮ রান করেন সোহান।
শেষদিকে শেখ মেহেদী হাসানের ২০ বলে অপরাজিত ৩০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ দল। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন আফিফ হোসেন। শেখে মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। নুরুল হাসান সোহান খেলেন ২৮ রানের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলী নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।