দাবায়

পঞ্চম শ্রেণির নীলাভা হারিয়ে দিলেন মহিলা মাস্টার রানী হামিদকে

খেলায় মগ্ন দুই প্রজন্মের দাবাড়ু
খেলায় মগ্ন দুই প্রজন্মের দাবাড়ু  © ফাইল ছবি

দেশের সবচেয়ে বয়স্ক ও অভিজ্ঞ দাবাড়ু রানী হামিদকে হারালেন ১০ বছর বয়সী সর্বকনিষ্ঠ শিশু দাবাড়ু নীলাভা চৌধুরী। গতকাল শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) চলমান মেয়েদের দাবা লিগে নীলাভার কাছে হার স্বীকার করে নিতে হয়েছে আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার রানী হামিদকে। 

পল্টন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবনে ফেডারেশন কার্যালয়ে সাদাকালো বোর্ডে কাল মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই প্রজন্মের দুই দাবাড়ু। আর সেখানেই লিগের সবচেয়ে বয়স্ক রানী হামিদের প্রতিপক্ষ সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু নীলাভা। 

নীলাভা খিলগাঁও ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। এটি ছিল তার অভিষেক ম্যাচ।

রানী হামিদকে হারিয়ে উচ্ছ্বসিত নীলাভা বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি যে ম্যাচটি জিতব। তবে আমি চেষ্টা করেছি ভালো খেলতে।’ নীলাভার ফিদে রেটিং মাত্র ১৩৯২। পড়াশোনা আর দাবা খেলাই নীলাভার ধ্যানজ্ঞান, ‘বাবার সঙ্গে আমি নিয়মিত দাবা খেলি। কখনো দাবার বোর্ড নিয়ে বসি। কখনো ল্যাপটপে অনলাইনে খেলি। আমার স্বপ্ন গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া।’

ওই লিগে রানী হামিদ খেলছেন বাংলাদেশ পুলিশের হয়ে। আর নীলাভার দল ছিল রুপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ। এ পর্যন্ত ৪ রাউন্ডে ৩ ম্যাচ খেলেছেন রানী হামিদ। এর মধ্যে ২টিতে জিতেছেন। নীলাভার প্রতিপক্ষ হয়েই প্রথম হারের স্বাদ পেলেন।

হেরে যাওয়ার পর হতাশ রানী হামিদ বলছিলেন, ‘আজ একটা বড় ভুল করে ফেলেছি। বাচ্চা একটি মেয়ের কাছে হেরে গেলাম। আসলে পুরো ম্যাচে আমি জেতার মতো অবস্থায় ছিলাম। কিন্তু শেষ দিকে একটা ভুল চালে সব গড়বড় হয়ে যায়।’

দাবা পরিবারের মেয়ে নীলাভা। বাবা সলিল চৌধুরী দাবাড়ু। বাবার কাছ থেকেই দাবায় হাতেখড়ি নীলাভার। বড় ভাই স্বর্ণাভো চৌধুরী জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে খেলেন। ২০১৯ সালে নয়াদিল্লিতে বিশ্ব জুনিয়র দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছেন স্বর্ণাভো। আর নীলাভা গত জুলাইয়ে খেলেছেন এশিয়ান অনলাইন স্কুল দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে।

রানী হামিদের কণ্ঠে ঝরল নীলাভার প্রংশসা। নীলাভার মাঝে উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছেন রানী হামিদ, ‘ওকে হালকাভাবে নেওয়াটাই ভুল হয়েছে। তবে ও আজ অসাধারণ খেলেছে। ওর মধ্যে অনেক সম্ভাবনা দেখেছি আমি।’

 

 


সর্বশেষ সংবাদ