ম্যাচ ফিক্সিং: আরামবাগের ৪ জন আজীবন নিষিদ্ধ

আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ
আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের চার জনকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এছাড়াও ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে আরামবাগ ক্লাবকে প্রথম বিভাগ ফুটবলে অবনমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

অবনমন ও নিষিদ্ধের পাশাপাশি ক্লাবকে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ আগামী এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

নিষিদ্ধ চার জন হচ্ছেন, ক্লাবের কর্মকর্তা সাবেক সভাপতি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান এম স্পোর্টস’র স্বত্বাধিকারী মো. মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ, সাবেক টিম ম্যানেজার গওহর জাহাঙ্গীর রুশো, সাবেক ট্রেনার ভারতের মাইদুল ইসলাম শেখ ও সহকারী ম্যানেজার আরিফ হোসেন।

এছাড়ও আরো দুই ভারতীয় কোচিং স্টাফ ফিজিও সঞ্জয় বোস এবং সহকারী আজিজুল শেখকে দশ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাবেক খেলোয়াড় আপেল মাহমুদকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আরামবাগের সাবেক খেলোয়াড় আবুল কাশেম মিলন, আল আমিন, রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, শামীম রেজা এবং অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ানকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছে। দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাবেক নাইজেরিয়ান খেলোয়াড় চিজোবা। ওমর ফারুক, রকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মেরাজ মোল্লাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রবিবার বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন এই শাস্তি প্রসঙ্গে সংবামাধ্যমকে বলেন, ‘পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি অনেকগুলো সভা করে। আমাদের কাছে তারা একটি রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্ট এবং আমাদের ডিসিপ্লিনারি কোডের ভিত্তিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বাফুফে আরামবাগের চারটি ম্যাচ ও ব্রাদার্সের কয়েকটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহ করেছিল। পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি অবশ্য ব্রাদার্সের ম্যাচগুলোতে সেভাবে সম্পৃক্ততা পায়নি। আরামবাগের ম্যাচগুলো নিয়ে তদন্ত শেষে রিপোর্টের ভিত্তিতে শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি।

আরামবাগ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ইতোমধ্যে রেলিগেশনে পড়েছে। রেলিগেটেড হয়ে প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার কথা আরামবাগের। বেটিং শাস্তির জন্য তাদেরকে আরো এক ধাপ নিচে নামিয়েছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। সিনিয়র ডিভিশন লিগে (প্রথম বিভাগ) খেলতে হবে দুই বছর আরামবাগকে। সিনিয়র ডিভিশন লিগে আরামবাগ চ্যাম্পিয়ন হলেও তাদেরকে দুই বছর কাটাতে হবে সিনিয়র ডিভিশনে। শাস্তির প্রথম বছর সিনিয়র ডিভিশন লিগ থেকে অবনমিত হলে অবশ্য দ্বিতীয় বিভাগে চলে যাবে ক্লাবটি।


সর্বশেষ সংবাদ