টি-টোয়েন্টি সিরিজও বাংলাদেশের
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ। ১৯৪ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে চার বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
এর আগে, এই অলিখিত ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দেয় জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। ২০১৮ সালে নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২১৫ রানের টার্গেট টপকে ৫ উইকেট জিতেছিল টাইগাররা। রান তাড় করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয় ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ১৬৪ রান টপকিয়ে জিতেছিল ২০১৬ সালে, খুলনায়।
সফরের শুরুটা জয় দিয়েই হয়েছিল বাংলাদেশের। একমাত্র টেস্টে ব্রেন্ডন টেলরের দলকে ২২০ রানের বড় ব্যবধানে হারায় মুমিনুল হকের দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও জয় পায় সফরকারীরা। ৩-০ ব্যবধানে হারায় জিম্বাবুয়েকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটাও হয়েছিল জয় দিয়ে। তবে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হারে ২৩ রানে।
আজ রবিবার ১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকিয়ে ৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। এতে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও নিজেদের করে নিল সফরকারীরা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অবশ্য শুরুটা সুখকর হয়নি বাংলাদেশের। ওপেনার নাঈম শেখ আউট হন ৩ রান করে। সাকিবকে নিয়ে রান তোলার গতি ধরে রাখেন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচ বাঁচিয়ে রাখে বাংলাদেশ। সাকিব অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি, ফেরেন ১৩ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে। যেখানে ২টি ছয়ের সঙ্গে ১টি চার মারেন।
এমন বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে সৌম্যর ব্যাটিংটিও স্বস্তি দিচ্ছিল না। ৪০ বলের তার ব্যক্তিগত অর্ধশতক ম্যাচ রেখেছিল বাংলাদেশকে। পর ৪৯ বলে ৯টি ও ১টি ছয়ের মারে ৬৮ রান করে আউট হন তিনি। ম্যাচ জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২৮ বলে ৩৪) আফিফ হোসেন (৫ বলে ১৪) ও শামীম পাটোয়ারি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলা শামীম ব্যাট হাতে রীতিমত ঝড় তোলেন। খেলেন ১৫ বলে অপরাজিত ৩ রানের ইনিংস। এতে ৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ দল। এতে টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও নিজেদের করে নিল সফরকারীরা।