জিম্বাবুয়ের সাথে বিশাল জয় বাংলাদেশের
মাহমুদউল্লাহ আগেই টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। শেষ টেস্টে সতীর্থরা তাকে জয় থেকে বঞ্চিত করেনি। দীর্ঘ ১৭ মাসের পর অবশেষে টেস্ট জিতলো বাংলাদেশ। যাদের বিপক্ষে এসেছিল সবশেষ জয়, সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই টেস্ট জিতলো বাংলাদেশ। সফরের একমাত্র টেস্টটিতে পঞ্চম দিনে স্বাগতিক দল প্রতিরোধ গড়লেও ২২০ রানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল ৪৭৭ রানের। জিততে হলে বিশ্বরেকর্ডই গড়তো হতো। বাংলাদেশের হারের সম্ভাবনা কার্যত ছিল না, তবে হারারের উইকেট ব্যাটসম্যানদের পক্ষে থাকায় ড্র করার চেষ্টা ছিল জিম্বাবুয়ের। শেষ দিনে স্বাগতিকদের হাতে ছিল ৭ উইকেট, দরকার ৩৩৭ রান। যে কোনো পিচেই কঠিন লক্ষ্য। জিম্বাবুয়ে সেই লক্ষ্য তাড়া করার চেষ্টাও করেনি। বরং ১৬৪ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ড্রয়ের অসাধ্য সাধন করার চেষ্টা করে স্বাগতিকরা। শেষ তিন উইকেটে তারা ৩৪.৩ ওভার কাটিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
আর এই সফল্যের পথের অন্যতম রূপকার মেহেদী হাসান মিরাজ। ঘূর্ণি জাদুতে কুপোকাত করেছেন স্বাগতিকদের। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া এই স্পিনারের দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার ৪ উইকেট। পঞ্চম দিনের লাঞ্চের আগে জোড়া আঘাতের পর শেষ উইকেটটিও তার। মিরাজের মতো লাঞ্চের আগে জোড়া আঘাত হেনেছিলেন তাসকিন আহমেদও। বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন রীতিমতো। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রানে তার শিকারও ৪ উইকেট।
পঞ্চম দিনের প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশের বোলাররা সুবিধা করতে না পারলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে আলো ছড়িয়েছেন তারা। সাফল্য এসেছে জোড়ায় জোড়ায়! প্র্রথমে মিরাজ হানলেন জোড়া আঘাত। তাসকিনই বা কম কীসে! এই পেসারও জোড়া আঘাত বসালেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে। ফলে ৩ ওভারের মধ্যে জিম্বাবুয়ের নেই ৪ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় শুরু করা জিম্বাবুয়ের দেখতে দেখতে নেই ৭ উইকেট!
তারপরও খেলার দৈর্ঘ্য বড় হয়েছে লেজের ব্যাটসম্যানরা প্রতিরোধ গড়ায়। দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ রান ব্রেন্ডন টেলরের, ৯২। ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেছেন ডোনাল্ড তিরিপানো। ১৪৪ বলে করেন ৫২ রান। এছাড়া শেষ দিকে ব্লেসিং মুজারাবানি ৩০ ও রিচার্ড এনগারাভার করেন ১০ রান।