মাহমুদউল্লাহ লিখিত দিয়েছিল সে টেস্ট খেলবে: বিসিবি সভাপতি
মাহমুদউল্লাহ যদি সত্যিই অবসরের কোনো কথা ড্রেসিংরুমে বলে থাকেন, সেটিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মন্তব্য করে নাজমুল হাসান বলেছেন, আমার ধারণা, সে হয়তো আবেগের বশে বলেছে। নইলে বোর্ডকে লিখিত দেওয়ার পর টেস্টের মধ্যে এভাবে বলার কথা নয়। টেস্টের মাঝখানে এটা যদি সে করে থাকে, তাহলে সেটার খুব নেতিবাচক প্রভাব পড়বে খেলোয়াড়দের ওপর। এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান গতকাল মাহমুদউল্লাহর অবসরের সংবাদের পর গণমাধ্যমে এসব কথা বলেছেন। হারারে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে গুঞ্জনটা। এই টেস্টের পরই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন মাহমুদউল্লাহ। শুক্রবার টেস্টের তৃতীয় দিনে ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের নাকি সে রকমই জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ঘটনার সত্যতা দলের কেউই নিশ্চিত করেননি।
বিসিবি সভাপতি বলেছেন, আমাকে অফিশিয়ালি কেউ কিছু বলেননি। তবে একজন ফোন করে জানিয়েছে, এই টেস্টের পর আর সে (মাহমুদউল্লাহ) টেস্ট খেলতে চায় না। ড্রেসিংরুমে নাকি সবাইকে সে এটা বলেছে। কিন্তু আমার কাছে এটা খুবই অস্বাভাবিক লেগেছে। খেলা তো এখনো শেষ হয়নি!
নাজমুল হাসান বলেন, জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহ লিখিতভাবেই বিসিবিকে জানিয়ে গেছেন তিনি তিন সংস্করণের ক্রিকেটে খেলতে চান। কেউ না খেললে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সিরিজের মাঝখানে এসব বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো মানে হয় না।
নাজমুল হাসান আরও বলেছেন, আমরা তো এবার ওদের সবার কাছ থেকেই লিখিত নিয়েছি ভবিষ্যতে তারা কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। জিম্বাবুয়ে যাওয়ার চার–পাঁচ দিন আগে এটা নেওয়া হয়েছে। রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) লিখেছে সে তিন ফরম্যাটেই খেলতে চায়। টেস্টের ক্ষেত্রে লিখেছে, সুযোগ পেলে আমি খেলতে চাই। সে জন্যই তাকে টেস্টে নেওয়া হলো।
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, আমি তাকে আমার বাসায় দুবার ডেকে জিজ্ঞেস করেছি এবং সে আমাকে নিশ্চিত করেছে সে টেস্ট খেলতে চায়। আমি তাকে জিজ্ঞস করেছি, প্রয়োজনে তুমি বল করবে তো? সে বলেছে, সে বলও করবে। ও এখন অবসরের কথা বলেছে, এটা তাই আমার কাছে একেবারেই আশ্চর্য লাগছে।