স্পেনের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে ইতালি
খেলার নির্ধারিত সময়ে কিয়েসার গোলে ইতালির এগিয়ে যাওয়ার পর মোরাতার গোলে স্পেনের প্রত্যাবর্তনে রোমাঞ্চ ছড়াল ম্যাচ। পরে পেনাল্টি শুটআউটে স্পেনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে ইতালি।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলিতে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাতে স্পেনকে হারিয়ে নয় বছর পর ফাইনালে চলে গেল ইতালি। ওয়েম্বলিতে দর্শকের উপস্থিতিতেই দুর্দান্ত এক ম্যাচ উপহার দিল চলমান ইউরোর প্রথম সেমি ফাইনাল।
টানা ৩২ ম্যাচে অপরাজিত আৎসুরিদের মুখোমুখি হয় টেকটিক্যালি নিখুঁত লুইস এনরিকের স্পেন।
প্রথমার্ধজুড়ে দাপটের সঙ্গে খেলেছে স্পেন। রক্ষণ সামলে কাউন্টার অ্যাটাক কৌশলে খেলতে থাকে ইতালি। কোনো গোলের দেখা না পাওয়া গোলশূন্য স্কোর নিয়ে বিরতিতে যায় ম্যাচ। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ডেডলক ভাঙে মানচিনির দল।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে দারুণ একটা কাউন্টার অ্যাটাকে লিড নিয়ে ফেলে ইতালি। গোলকিপার জানলুইজি ডোনারুমা থেকে শুরু। বলা যায় চার পাসে দুর্দান্ত একটা গোলের সৃষ্টি। বল নিয়ে চিরো ইমোবিলে যখন ডি-বক্সে ঢুকছেন স্পেনের ডিফেন্ডার আয়মেরিক লাপোর্তে প্রাথমিক ট্যাকলে রুখে দেন আক্রমণ।
ফাঁকায় থাকা বলটা পেয়ে বাম প্রান্ত থেকে ডান পায়ে নিখুঁত বাঁকানো শটে গোলকিপার উনাই সিমোনকে পরাস্ত্র করে বল জালে জড়ান ইতালির ইউভেন্তাস ফরোয়ার্ড ফেদেরিকো কিয়েসা।
এরপরে ইতালি যেভাবে রক্ষণ জমাট করে রাখছিল তাতে মনে হচ্ছিল হয়তো এই ব্যবধানেই ম্যাচটা লুফে নিতে চলেছে টানা ৩২ ম্যাচে অপরাজিত ইতালি।
৮০ মিনিটে দলীয় ফুটবলের নৈপূণ্য দেখিয়ে সমতায় ফেরে স্পেন। বদলি হিসেবে মাঠে নেমে দানিয়েল ওলমোর সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ানে ডি-বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান আলভারো মোরাতা। ইতালির গোলকিপারকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে স্পেন সমর্থকদের উল্লাসে মাতান মোরাতা।
এরপরে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর গোলের দেখা না পেলে ম্যাচ চলে যায় এক্সট্রা টাইমে। অতিরিক্ত সময়েও কোনো গোলের দেখা না হওয়ায় পেনাল্টি শুটআউট ভাগ্যে নির্ধারিত হয়।
১-১ সমতার পর পেনাল্টি শুটআউটে ৪-২ ব্যবধানে স্পেনকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চয়ে যায় ইতালি। সেমি থেকে স্বপ্নভঙ হয়ে বিদায় নেয় স্পেন। ফাইনালে ওয়েম্বলিতে সামনের রোববার ইংল্যান্ড বা ডেনমার্ককে পাচ্ছে রবার্তোর মানচিনির দল।