পেরুকে হারিয়ে কোপার ফাইনালে ব্রাজিল

পেরুকে হারিয়ে কোপার ফাইনালে ব্রাজিল
পেরুকে হারিয়ে কোপার ফাইনালে ব্রাজিল  © সংগৃহীত

গ্রুপ পর্বে পেরুকে চার গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলো ব্রাজিল। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে আবারও সেই পেরুকে পেয়ে সহজেই উতরে যাওয়ার কথা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু সহজে হার মানতে রাজি নয় পেরু। সেমিতে ব্রাজিল দলে দুটি পরিবর্তন। জেসাস সাসপেনশনের কারণে নেই। ফিরমিনোর জায়গা হয়েছে বেঞ্চে। পাকুয়েতা ফিরেছেন।এভারটনও আছেন। অন্য দিকে পেরুর দলে একটি পরিবর্তন।

ম্যাচের প্রথম থেকেই পেরুর রক্ষণে কড়া নাড়ছিলেন নেইমার, এভারটনরা। ৭ মিনিটে সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু রিশার্লিসনের সে কাটব্যাক থেকে শটটা জোরাল ছিল না তেমন, সহজ সেভে পেরুকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক গালেসে। ১৯ মিনিটে প্রথম বড় সুযোগটা পায় ব্রাজিল। সে যাত্রায় গোলরক্ষক গালেসের কল্যাণে গোল হজম করেনি পেরু। ক্যাসেমিরোর থ্রু বল থেকে লুকাস পাকেতা বাইলাইনের কাছে পেয়ে যান বল, তার কাটব্যাক থেকে নেইমারের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন গালেসে। রিশার্লিসনের ফিরতি চেষ্টাটাও এরপর শেষ হয়েছে গালেসের সেভ থেকেই।

তবে ম্যাচের অচলাবস্থা ভাঙে খেলার ৩৪ মিনিটে। নেইমার দারুণ এক আক্রমণের শেষ দিকে ঢুকে পড়েন পেরু রক্ষণে। ততক্ষণে চার পেরুভিয়ান ডিফেন্ডার ছেঁকে ধরেছেন তাকে, নেইমার বল হারাননি তাতে, দারুণ ক্লোজ কন্ট্রোলে বল দখলে রেখে শেষে বাড়ান সতীর্থ লুকাস পাকেতাকে। তার প্রথম ছোঁয়াতেই করা দারুণ শটে ব্রাজিল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। এই সবেধন নীলমণি গোলে এগিয়েই বিরতিতে গেছে কোচ তিতের শিষ্যরা। প্রথমার্ধে করা একমাত্র গোল দিয়েই পেরুকে বিদায় করে টানা দ্বিতীয়বারের মত কোপা আমেরিকার ফাইনালে পৌঁছে গেলো স্বাগতিক ব্রাজিল।

দ্বিতীয়ার্ধে নেমে অবশ্য আক্রমণে মনোযোগ দেয় পেরু। ছোট ছোট পাসে বেশ কয়েকবার ব্রাজিল রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল পেরু। ব্রাজিলও তার আক্রমণাত্মক খেলা টিকিয়ে রাখে। ৫০তম মিনিটে সমতা ফেরানোর ভালো একটা সুযোগ পায় পেরু। এদেরসনের নৈপুণ্যে তা আর হয়ে ওঠেনি। নিজেদের অর্ধ থেকে ইয়োশিমার ইয়োতুনের বাড়ানো বল ধরে ডি বক্স থেকে শট নেন জানলুকা লাপাদুলা। ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ফেরান এদেরসন।

আক্রমণের ধার বাড়াতে ট্রাউকোকে তুলে নিয়ে লোপেজ ও রামোসের বদলে লেফট উইঙ্গার গার্সিয়াকে মাঠে নামান কোচ রিকার্দো গেরেসা। বদলি হিসেবে নেমে গোলপোস্ট বরাবর দুর্দান্ত এক শট নেন গার্সিয়া। শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে পেরু। ৫৬ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন পেরুর ইয়োতুন। ৬১ মিনিটের মাথায় অফসাইড হন লাপাদুলা। ৬৬ মিনিটের মাথায় ব্রাজিলের অন্যতম মিডফিল্ডার ফ্রেডের একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ৭০ মিনিটে এভার্টনকে তুলে নিয়ে রিবেইরোকে মাঠে নামা ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের স্কোরলাইন রেখে ব্রাজিল ফাইনাল নিশ্চিত করে।


সর্বশেষ সংবাদ