৩০ মে ২০২১, ০৮:৫০

ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে চেলসির জয়

শিরোপা হাতে চেলসি  © সংগৃহীত

পোর্তোর দ্রাগাও স্টেডিয়ামে আজ ’অল ইংলিশ ফাইনালে’ সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা উৎসব করল টমাস টুখেলের চেলসি। ২০১২ সালে নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা চেলসির দ্বিতীয় শিরোপা এটি।

আর চেলসির কোচ টমাস টুখেলের প্রথম! গত মৌসুমে নেইমার-এমবাপ্পের পিএসজিকে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠেও বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে পেরে ওঠেননি। এরপর ঘটনাচক্রে ডিসেম্বরে পিএসজি থেকে বরখাস্ত হয়েছিলেন। এসেছিলেন চেলসিতে। এখানে এসে ক্যারিয়ারের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগও জেতা হয়ে গেল তাঁর!

সেটি এসেছেও কী দারুণ ঢংয়ে! বলের দখল ম্যানচেস্টার সিটিরই বেশি ছিল, সেটি হয়তো অনুমিতই ছিল। কিন্তু ম্যাচজুড়ে সিটির আক্রমণভাগকে দমিয়ে রাখা চেলসিই বরং সুযোগ পেয়েছে বেশি। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিল ৪২ মিনিটে কাই হাভার্টজের গোল!

গত মাসে যখন নিশ্চিত হয়েছিল চেলসি আর ম্যানচেস্টার সিটি ফাইনালে খেলছে, তারপর ঘরোয়া লিগে-কাপে দুবার মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। দুবারই চেলসি জিতেছে। ব্যতিক্রম হলো না আজও।

চেলসির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছিল ৩৯ মিনিটে রক্ষণের নেতা থিয়াগো সিলভার চোট। এর মিনিট তিনেক আগে কুঁচকিতে চোট পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই সিলভা জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মনে হচ্ছিল, এই ধাক্কা বুঝি আর সামলাতে পারবে না চেলসি। কিন্তু হলো উল্টো, থিয়াগো উঠে যাওয়ার মিনিট তিনেক বাদেই গোল চেলসির!

শুরু থেকে আক্রমণে দারুণ শুরু করা চেলসির হয়ে ১০ মিনিটেই গোলের খুব কাছে গিয়েছিলেন টিমো ভের্নার। কিন্তু মাউন্টের বাড়ানো বলে ঠিকমতো পা ছোঁয়াতে পারেননি জার্মান স্ট্রাইকার। পাঁচ মিনিট পর আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।

ম্যাচের শেষ দু-তিন মিনিটে অবশ্য চেলসির বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল সিটি। ৯০ মিনিটে দিয়াজের ক্রস চেলসি বক্সে সবাইকেই এড়িয়ে যায়, এরপর মাহরেজ আবার ক্রস করেন বক্সে, কিন্তু ক্রসটা ফোডেনের কাছে যাওয়ার আগেই চেলসি ডিফেন্ডাররা সেটি ফিরিয়ে দেন। এরপর যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে মাহরেজ আবার সিটিকে সমতায় ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর শট চলে যায় বার উঁচিয়ে।