০২ মে ২০২১, ১১:২২

মৃত্যুর আগে অযত্নে ভুগেছেন ম্যারাডোনা

দিয়েগো ম্যারাডোনা  © সংগৃহিত

গত বছর ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান দিয়েগো ম্যারাডোনা। পরে তার মৃত্যুকে ঘিরে অবহেলার অভিযোগ ওঠে। এরপর ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে এই প্যানেল গঠন করা হয়।

ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত চিকিৎসকদের সেই বিশেষজ্ঞ প্যানেল জানিয়েছে, আজেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা মৃত্যুর আগে অযত্নে ভুগেছেন। তার সুস্থতার জন্যও দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক-নার্সরা যথেষ্ট সোচ্চার ছিলেন না।

শুক্রবার আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লার্ন সেই প্যানেলের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ৭০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে প্যানেল বলছে, ম্যারাডোনার মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এই সময়ে ‘ম্যারাডোনার সঠিক পর্যবেক্ষণ হয়নি’ বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।

আর ম্যারাডোনার বেঁচে থাকার বিষয়টি ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বলে তদন্ত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমটি।

ক্লার্নের প্রতিবেদন অনুযায়ী মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়ির চেয়ে কোনো মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা হলে ম্যারাডোনার সুস্থতার আরো ভালো সম্ভাবনা থাকত।

রয়টার্সও তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি পেয়েছে। তারা জানায়, ম্যারাডোনার মৃত্যু তদন্তে গঠিত প্যানেল বলছে, কিংবদন্তি ফুটবলারের চিকিৎসক দল ‘অনুপযুক্ত, যথেষ্ট নয় এবং যত্নহীন ছিল।

ম্যারাডোনার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে, তাদের মধ্যে আছেন ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিয়োপোল্ডে লুকে ও মনোবিদ অগাস্টিনা কোসাচভও।

মেডিক্যাল প্যানেল তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, এখন কোনো অভিযোগ আনতে হবে কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রসিকিউটররা। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ক্লার্ন বলছে, এ ক্ষেত্রে হত্যার বিষয় বিবেচিত হতে পারে।

মৃত্যুর আগে নভেম্বরের শুরুতে তার মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এরপর অতিরিক্ত অ্যালকোহল নির্ভরতা থেকে মুক্তির জন্য তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু হঠাৎই বিশ্ব ফুটবলকে স্তব্ধ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক। যিনি অনেকটা একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে সেবার বিশ্বকাপ এনে দেন।

ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ উঠে। এরপর আর্জেন্টিনার প্রসিকিউটররা ম্যারাডোনার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে জড়িত চিকিৎসক, নার্সদের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন।

ম্যারাডোনার মৃত্যুর কারণ পরীক্ষা করতে এবং করো কোনো অবহেলা আছে কি-না, তা নির্ধারণে প্রসিকিউটররা ২০ জন মেডিক্যাল বিশেষজ্ঞের একটি প্যানেল গঠন করেন।