২৭ নভেম্বর ২০২০, ১২:১৪

অন্তরে আমি একজন ফিলিস্তিনি: ম্যারাডোনা (ভিডিও)

ফিলিস্তিনের পতাকা তুলে ধরে নিজেই জানান দিলেন ম্যারাডোনা  © সংগৃহীত

আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিপরীতে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে একজন গোরা সমর্থক ছিলেন তিনি।

বুধবার হার্টঅ্যাটাকে তার মৃত্যুর খবর আসলে ভক্তরা তাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে তার কোনো দ্বিধা ছিল না। বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবল তারকা সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও বামপন্থী সমাজতান্ত্রিক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। [মিডল ইস্ট আই ও আল-জাজিরা]

২০১২ সালে ফিলিস্তিনিদের ‘এক নম্বর ভ্ক্ত’ হিসেবে নিজেকে আখ্যায়িত করেন ম্যারাডোনা। তিনি বলেন, আমি তাদের সম্মান করি এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কোনো ভয় ছাড়াই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানাই।

এর দুবছর পর ২০১৪ সালে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিমান হামলা দুই হাজার ২০০ জন নিহত হন। তখন এই নৃশংসতার প্রতিবাদ করেন ম্যারাডোনা। এ ঘটনাকে তিনি ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

২০১৮ সালে মস্কোতে এক বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে দেখা করেন ম্যারাডোনা। আব্বাসকে বুকে জাপটে তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিন আমার হৃদয়ে, আমি ফিলিস্তিনি।’

২০১৫ সালে এএফসি এশীয় কাপের সময় ফিলিস্তিনি জাতীয় দলকে প্রশিক্ষণ দিতে ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন এই ফুটবল কিংবদন্তি।

ফুটবলকে ‘আরব গণতন্ত্রের অন্ধকার গুহার মধ্যে...অভিব্যক্তি প্রকাশের ক্ষেত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ দারবিশ।

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার এই খেলোয়াড়কে নিয়ে এক নিবন্ধে তিনি লেখেন, ফুটবল হচ্ছে শ্বাসপ্রশ্বাসের জায়গা, যাতে ভেঙে পড়া দেশকে একটি স্বাভাবিক জায়গাকে কেন্দ্র করে সেরে ওঠার সুযোগ করে দেয়।

ভিডিও ‍দেখুন টুইটে: