১৩ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে সাকিব

  © সংগৃহীত

ফেরার ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। আর তার সঙ্গে ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। দ্রুত টপ অর্ডারদের হারিয়ে চাপে আছে জেমকন খুলনা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেটে খুলনার সংগ্রহ ৮১ রান। 

১৫৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে শুরুতেই চাপে পড়ে খুলনা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। ওভারের তৃতীয় বলে প্রথমে এনামুল হক বিজয়কে সাজঘরে পাঠান তাসকিন। পঞ্চম ওভারে ইমরুল কায়েসকে বানান নিজের দ্বিতীয় শিকার।

দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে খুলনা। মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ফেরার আগে ১৬ বলে ১৭ রান করেন তিনি। এর পর ষষ্ঠ ওভারে সাকিবের প্রতিরোধ ভাঙেন তরুণ বোলার সুমন খান।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫২ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন পারভেজ হোসেন ইমন।

এদিন টস জিতে বোলিং করতে নেমে শুরুতেই সাফল্য পায় খুলনা। ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট পেয়ে শুরু করেন শফিউল। রানের খাতা খোলার আগে মেহেদী হাসান মিরাজকে আউট করেন তিনি। তামিম ইকবালকে শিকার বানান শহীদুল। ফেরার আগে ১৫ বলে ১৫ রান করেন অধিনায়ক।

নবম ওভারে উইকেট পান সাকিব। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে আফিফকে আউট করেন দেশসেরা ক্রিকেটার। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পর পারভেজের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বরিশাল। ১২ ওভারে ওই প্রতিরোধ ভাঙেন হাসান মাহমুদ। ১১ রানে ফিরে যান ইরফান শুক্কুরও। এরপর তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে লড়াই করে তামিমদের দল। কিন্তু শহীদুলের দারুণ বোলিংয়ের সামনে বেশিদূর যেতে পারেনি বরিশাল। শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে লড়াইয়ের পুঁজি পায় তামিমের দল।

খুলনার হয়ে বল হাতে ১৮ রান খরচায় এক উইকেট নিয়েছেন সাকিব। মাত্র ১৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়েছেন শহীদুল। সমান দুটি করে নিয়েছেন শফিউল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।


সর্বশেষ সংবাদ