মেসির কাছে হার সংবাদমাধ্যমের, ৭১৪২ ইউরো জরিমানা

লিওনেল মেসি
লিওনেল মেসি  © ফাইল ফটো

আনসু ফাতিকে নিয়ে এক প্রতিবেদনে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ ওঠায় ক্ষমা চেয়েছিল স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এবিসি’। সেই ঘাঁ না কাটতেই এবার লিওনেল মেসির কাছে হারতে হলো সংবাদমাধ্যমটিকে।

মেসির দাতব্য ফাউন্ডেশনের বিপক্ষে এক মামলায় হেরেছে এবিসি। এ জন্য লিও মেসি ফাউন্ডেশনকে ৭,১৪২ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বার্সেলোনা তারকার ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমটি হিসাব গরমিল করে কর ফাঁকির অভিযোগ তুলেছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা ওঠার পর তার রায়ে আদালত এবিসিকে আইনি খরচসহ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর পুরো অর্থ বার্সেলোনার সান্ত জোয়ান দে দেউ হাসপাতালে দান করবে কাতালান ক্লাবটি।

মেসির ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে সংস্থাটি এবং আর্জেন্টাইন তারকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে—এমন রায় দিয়েছে আদালত। ঠিকমতো খোঁজখবর না নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করার সমালোচনা করেছে আদালত, ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই না করেই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে নানা রকম শিরোনাম। এতে পাঠক ভেবে নেবে ফাউন্ডেশন এবং তার পরিচালক আরও কর ফাঁকি দিয়েছেন।’

গত বছর মেসি ফাউন্ডেশনের সাবেক কর্মী ফ্রেদরিকো রেতোরি এই সংস্থার বিপক্ষে কীভাবে জালিয়াতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তুলেছিলেন তা প্রকাশ করেছিল ইএসপিএন। তবে প্রমাণ না থাকায় এসব অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। এদিকে গত মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগে ফেরেৎসভারোসকে ৫-১ গোলে হারানোর পর ফাতিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন করে এবিসি। সেই প্রতিবেদনে ফাতিকে নিয়ে বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে।

আলোচিত-সমালোচিত সেই প্রতিবেদনে লেখা হয়, ‘নিখাদ স্ট্রাইকারের মতো শরীর মুচড়িয়ে নেওয়া শটে গোল প্রায় পেয়ে যাচ্ছিলেন আনসু ফাতি। হরিণের দৌড়ের সঙ্গে তাঁর দৌড়ের মিল আছে। সে যেন এক তরুণ, কৃষ্ণাঙ্গ রাস্তার ফেরিওয়ালা, যে পাসেও দো গ্রাসিয়ায় (বার্সেলোনা শহরের অন্যতম এভিনিউ) পুলিশ এলে “পানি” “পানি” বলে দৌড়ায়। শহরটির হৃদয়ে সে যেন জঙ্গলের পোস্টকার্ড। আদা কোলাওয়ের (বার্সেলোনার মেয়র) জন্য এখন আর তা দেখা যায় না। কারণ পুলিশই ছোটখাটো অপরাধ করে থাকে, রাস্তার ফেরিওয়ালারা নয়। তাই আর দ্রুত দৌড়ানোর দরকার পড়ে না। এটা সত্য যে পর্যটক ছাড়া তাদের ব্যবসা মার খেয়ে যেত।’

প্রতিবেদনের এমন ভাষা অনেকের কাছেই দৃষ্টিকটু ঠেকেছে। তাঁর সতীর্থ আঁতোয়া গ্রিজমানের চোখ এড়ায়নি বিষয়টি। ফাতির পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি টুইট করেন, ‘আনসু অনন্য এক ছেলে, অন্যান্য সব মানুষের মতো তারও সম্মান পাওয়া উচিত। বর্ণবাদ ও বাজে আচরণের প্রতি “না”।’


সর্বশেষ সংবাদ