কাজী সালাউদ্দিনের পদত্যাগসহ দুই দাবি ফুটবলপ্রেমী তরুণদের
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সালাম মুর্শিদি পদত্যাগসহ দুই দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ফুটবলপ্রেমী তরুণরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না বলেও ঘোষণা তাদের।
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানান তারা। ‘ফুটবল প্রেমী তরুণ প্রজন্ম’ এর ব্যানারে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের দুই দাবির মধ্যে রয়েছে- ফুটবল বাঁচানোর স্বার্থে কাজী সালাউদ্দিন এবং সালাম মুর্শিদিকে নির্বাচন থেকে ফিরে এসে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় নেয়া এবং ফুটবল মন্ত্রণালয় বা কমিশন গঠন করতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক খেলোযাড় কায়সার হামিদ এবং ব্যারিস্টার সুমন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে কায়সার হামিদ বলেন, করো সাথে আমাদের কোনো বিরোধিতা নেই। আমরা চাই ফুটবলের উন্নয়ন। যদি আজকে আমদের দেশের ফুটবল তাদের নেতৃত্বে কোনো একটা ভালো জায়গায় যেত তাহলে আমরা এরকম রাজপথে এসে আন্দোলন করতাম না।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমাবেশে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দ্বীন মোহাম্মদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তাঁরা ( কাজী সালাউদ্দীন-সালাম মুর্শিদি) এক যুগের মত সময় নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। কাজেই এর ময়না তদন্তের কাজে দেশের প্রজন্মকেই দেখতে হবে। অথচ তারা এখন বলছেন, ১২টা বছর আমাদের ফাউন্ডেশন করতে সময় লেগে গেছে? যদি ধরেও নেয়া যায়, তাঁরা আমাদের ফুটবলের ফাউন্ডেশন করতে পেরেছেন, তাহলে সমস্যা তো ছিল না। তাঁদের প্রতি আস্থা রাখতে ক্ষতি কোথায়? কিন্তু, না। আসলে ফাউন্ডেশনটাও হয় নাই। তৃণমুলে ফুটবল নেই, ফিফা র্যাংকিং এর তলানিতে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ফুটবলের এই হাল কেন হল?
এ সময় ফুটবল মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের ফুটবলের এই দরাবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে গেলে আমাদের একটি সফল ক্রীড়া মন্ত্রণালয় করার জোর দাবি রইলো। তাহলে আমাদেরকে এই সমস্ত দুষ্টু সংগঠকদের পেছনে লাগতে হয় না। তখন ফুটবল মন্ত্রী তাঁর বৈপ্লবিক কর্মে বাংলাদেশের ফুটবলকে উন্নত জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন বলে অনুমিত হয়। সেক্ষেত্রে এমন একজন কে এই দায়িত্ব দিতে হবে যিনি ফুটবলের জন্য নিবেদীতপ্রাণ হিসেবে কাজ করে যাবেন। আমাদের দেশে ক্রীড়াবোদ্ধারা আছেন তাঁদের পরামর্শে ফুটবল ইতিহাস তৈরি করবে।
তিনি বলেন, যদি মন্ত্রণালয় না করা সম্ভব হয়, একটা কমিশন করুন, নচেৎ বাংলাদেশ ফুটবল এনালিস্ট উইং নামকরণেও একটি সরকারী সংস্থা জাতীয় সংসদে পাশ করে গেজেট করুন।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের লাল সবুজের পতাকা নিয়ে বলতে চাই, আমাদের সালাহউদ্দীন ছিল, কায়সার হামিদ ছিল, মোনেম মুন্না ছিল, আজ জামাল ভুইয়ারা আছেন, সেই দিন দূরে নয় যেদিন আমরা অনাগত বিশ্বমানের ফুটবলার সুপারস্টারও পেয়ে যাবো।
এ সময় নতুন কর্মসূুুচীর ঘোষণা দিয়ে দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আসন্ন ৩ অক্টোবরের নির্বাচনের আগে এই ঘোষণা যদি আসে তবেই আমরা ঘরে ফিরবো। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আগামী ৩ অক্টোবর। স্থান ও ধরণ জানিয়ে দেয়া হবে।