ম্যাচে পরাজয়, অবসর নিয়ে যা বললেন মাশরাফি
দেশে ফিরে অবসরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মাশরাফি বিন মোর্তুজা। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। বলেছেন, সাকিব আল হাসানের মতো অন্য কোন ক্রিকেটার ধারাবাহিক পারফর্ম করলে বাংলাদেশ আরও ভালো করতো।
আজ বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচের আগে মাশরাফীর অবসর সম্পর্কিত গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। বলা হয় এ ম্যাচ শেষেই অবসরের ঘোষণা দিচ্ছেন মাশরাফি। উপরের উত্তরের মাধ্যমে মূলত তারই জবাব দিলেন ম্যাশ।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে মাশরাফী বলেছিলেন এবারের বিশ্বকাপই তার শেষ বিশ্বকাপ। বয়স এবং আরও অনেক কিছুর বিবেচনায় সামনের বিশ্বকাপে তার খেলাটা এক প্রকার দুরূহই বলা যায়। তবে এবারের বিশ্বকাপকে নিজের শেষ বিশ্বকাপ হিসেবে ঘোষণা দিলেও এখনই অবসর নিচ্ছেন না তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফী জানান, এখনও অবসর সম্পর্কিত কোন চিন্তাভাবনা তিনি করেননি। দেশে ফিরে এ সম্পর্কে তিনি ঘোষণা দেবেন।
এদিকে আজকের খেলার মাধ্যমে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট বিশ্বের সব রেকর্ড এতদিন একাই দখল করে রেখেছিলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। কিন্তু রেকর্ড তৈরিই হয় ভাঙার জন্য। আজ ক্রিকেট ঈশ্বরের একটি রেকর্ড ভেঙে দিলেন বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এতদিন এক বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল শচীনের দখলে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ৯টি ইনিংস খেলে ৫৮৬ রান করেছিলেন ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর। আজকের ম্যাচের আগে ৫৪২ রান ছিল সাকিবের। হাফ সেঞ্চুরি করে গড়লেন নতুন বিশ্বরেকর্ড।
শুধু তাই নয়; বিশ্বকাপে তার রান সংখ্যা ৬শ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের এই কীর্তি নেই। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড রয়েছে সেই শচীন টেন্ডুলকারের দখলে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ৬৭৩ রান করেছিলেন তিনি।
এক বিশ্বকাপে সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস কেবল আছে টেন্ডুলকার ও সাকিবের। তবে ম্যাচের হিসেবে তুলনামূলক বিচারে অনেক এগিয়ে আছেন সাকিব। ২০০৩ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচে সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন টেন্ডুলকার। এর মধ্যে সেঞ্চুরি ছিল মাত্র একটি। আর সাকিবের ৭টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলতে ম্যাচ খেলতে হয়েছে মাত্র আটটি। সেঞ্চুরিও টেন্ডুলকারের চেয়ে একটি বেশি। তবে সাকিবের চেয়ে টেন্ডুলকারের রান বেশি। টেন্ডুলকারের মোট রান ছিল ৬৭৩ আর সাকিবের ৬০৬। তবে টেন্ডুলকারের চেয়ে সাকিব ম্যাচ কম খেলেছেন তিনটি।
আজ সাকিব শুধু টেন্ডুলকারে রেকর্ডেই ভাগ বসাননি। বিশ্বকাপে সর্বকালের সর্বোচ্চ রানের মালিকের ১০ জনের তালিকায় ঢুকে গিয়েছেন। চারটি বিশ্বকাপ খেলে সাকিবের মোট রান ১১৪৬। এতে রানের দিক দিয়ে নবম স্থানে আছেন সাকিব। তালিকায় তাঁর ওপরে আছেন শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, কুমার সাঙ্গাকারা, ব্রায়ান লারারা।