০২ জুন ২০১৯, ১৯:৫৪

চলতি বিশ্বকাপের সবচেয়ে বেশি রান এখন বাংলাদেশের

বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে টােইগারদের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান করেছে টাইগাররা।  বিশ্বকাপ তো বটেই ওয়ানডেতেই এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ওয়ানডেতে ২০১৫ সালে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৩২৯ রান করে বাংলাদেশ। আর বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে একই বছর সর্বোচ্চ ৩২২ রান করেছিল টাইগাররা। চলতি বিশ্বকাপে শুরুর পাঁচ ম্যাচেও এটি সবচেয়ে বড় স্কোর।

২০১৫ সালে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে এই রান করেছিল টাইগাররা। আর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলী স্কোর ছিল ৩২২। ২০১৫ সালের আসরে নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে এই সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ।

টস হারলেই আগে ব্যাট করতে হবে সেটা সবারই জানা ছিলো। সম্ভবত আগে ব্যাটিংটা বাংলাদেশ দলও চায়নি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার পেস বোলিংয়ের জুজু কাটাতে বেশি সময় লাগেনি। দুই ওপেনারের সাবলীল ব্যাটিংয়েই ভালো একটা ভিত্তি পেয়ে যায় বাংলাদেশ। তামিম অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি। দলীয় ৬০ রানের সময় ব্যক্তিগত ১৬ রানে ফেরেন তিনি। আন্দিলে ফেলুকাওয়ায়ুর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাট দেন তামিম।

সৌম্য ছিলেন স্বরূপে। প্রোটিয়া পেসারদের তোপগুলো একের পর এক বাউন্ডারি ছাড়া করেছেন শৈল্পিক সব শটে। ৩০ বলে ৪২ রান করে তিনি শিকার হন ক্রিস মরিসের।

এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম। প্রতি বলে বলে অভিজ্ঞতার ছাপ রেখে গেছে মুশি-সাকিব জুটি। তাদের ১৪২ রানের জুটি ভাঙে ৩৬তম ওভারে। ৮৪ বলে ৭৫ রানে ফেরেন সাকিব। লেগস্ট্যাম্প ছেড়ে সুইপ করতে গিয়ে ইমরান তাহিরকে উইকেট উপহার দেন সাকিব।

২১ বলে ২১ রান করে ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকার হন মিঠুন। দলীয় ২৫০ রানের সময় ব্যাক্তিগত ৭৮ রানে ফেরেন মুশফিক। এরপর রানের চাকা কিছুটা শ্লথ হয়ে যায়।

শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে বড় সংগ্রহ পাইয়ে দেন মোসাদ্দেক। দুজনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৩০ রান তোলে বাংলাদেশ। মোসাদ্দেক ২৬ রানে ফিরলেও মাহমুদুল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৪৬ রানে।

বাংলাদেশ ৩৩০/৬ (৫০)
তামিম ১৬ (২৯)
সৌম্য ৪২ (৩০)
সাকিব ৭৫ (৮৪)
মুশফিক ৭৮ (৮০)
মোহম্মাদ মিঠুন ২১ (২১)
মাহমুদুল্লাহ ৪৬ (৩৩)
মোসাদ্দেক ২৬ (২০)
মিরাজ ৫ (৩)