মাশরাফির ইনজুরিতে ভক্ত-সমর্থকদের হতাশা
আসন্ন বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে বৃষ্টির কারণে খেলা মাঠ পর্যন্ত গড়ায়নি । এরপর গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাশরাফির খেলার কথা না থাকলেও শেষ পর্যন্ত নেমেছিলেন। এ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেই চোটে পড়লেন মাশরাফি। ব্যক্তিগত ষষ্ঠ ওভারের বল করতে এসে বা পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান তিনি। বিশ্বকাপের আগে ঠিক এমন মুহূর্তে ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে ম্যাশের ইনজুরিতে।
এরআগে গত ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় মাশরাফি পেয়েছিলেন ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট। এবার অন্য পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়েও চোট পেলেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে টাইগার সমর্থকদের জন্য যেটা সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ।
তবে মাঠে নামলেও মাশরাফির পরিকল্পনা ছিল সর্বোচ্চ চার অথবা পাঁচ ওভার করার। কিন্তু রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির দ্রুত রান তোলায় লাগাম টানতেই ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন মাশরাফি। এই ওভারে বোলিংয়ে এসেই চোটে পড়েন তিনি।
গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় মাশরাফি জানিয়েছেন, ‘বেশিরভাগ সময়ে আমি প্রথম এক-দুই ওভারের মধ্যে সমস্যা অনুভব করি। কিন্তু তখন যদি কিছু না হয়, তবে পরে আর সমস্যা হয় না। আজও (মঙ্গলবার) হয়নি। তবে ষষ্ঠ ওভারে এসে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে। আমি চার অথবা পাঁচ ওভার করেই আর বল করতাম না। কিন্তু সেই সময়ে রোহিত ও কোহলি দুজনই খুব দ্রুত রান তুলছিল। আমার মনে হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে বোলিং প্র্যাকটিসটা করা দরকার।’
ডাক্তারি চিকিৎসা মতে এ ধরনের ইনজুরিতে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় দিনের বিশ্রাম দেন ফিজিওরা। কিন্তু বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। হাতে আছে তিনদিনের মতো সময়। কিন্তু মাশরাফি চাইছেন, বিশ্রাম যেমনই হোক প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে।