স্টার্কের আগুন ঝরানো বোলিং, দুইশ রানও করতে পারেনি ভারত
মিচেল স্টার্কের আগুন ঝরানো বোলিং, তাতেই তছনছ হয়ে গেল ভারত। অ্যাডিলেইডে কৃত্রিম আলো পুরোপুরি জ্বলার আগেই তিনি বিপাকে ফেলেন ভারতকে। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিনে প্রথম ইনিংসে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। টেস্টে পঞ্চমবার এক ইনিংসে ৬ উইকেটের দেখা পেলেন স্টার্ক। তবে আজ কেবল ৪৮ রান খরচ করেন বাঁহাতি এই পেসার। এর আগে তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ৬ উইকেটে ৫০ রান।
দিবা-রাত্রির টেস্টের শুরুটা হয় স্টার্কের হাত দিয়ে। প্রথম বলেই তিনি এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন যশস্বী জয়সওয়ালকে। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতির বল ফ্লিক করার চেষ্টা করলেও পারেনি এই ভারতীয় ওপেনার। খানিকটা দেরিতে সুইং করায় বল আঘাত হানে তার প্যাডে। আম্পায়ারও স্টার্কের আবেদনে সাড়া দিতে দেরি করেননি। পার্থ টেস্টে সেঞ্চুরির পথে ধীর গতি নিয়ে স্টার্ককে স্লেজিং করা জয়সওয়াল তাই ফেরেন গোল্ডেন ডাকেই। এরপর ডিনার সেশনের আগে লোকেশ রাহুল (৩৭) ও বিরাট কোহলিকেও (৭) তুলে নেন স্টার্ক। থিতু হওয়ার ইঙ্গিত দিলেও শুভমান গিল (৩১) শিকার হন স্কট বোল্যান্ডের।
ওপেনিং ছেড়ে ছয় নম্বরে নামা রোহিত শর্মা অবশ্য কোনো সুবিধা করতে পারেননি। বোল্যান্ডের বলেই ৩ রান করে ফিরতে হয় ভারতীয় অধিনায়ককে। এরপর ঋষভ পন্তকে (৩) তুলে নিয়ে উইকেটের খাতা নাম লেখান অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
স্টার্কের দাপট অবশ্য চলতেই থাকে। হারশিত রানার পর রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফাইফার পূর্ণ করেন তিনি। এমন দুরবস্থা দেখে দেড়শ পেরোনোও মুশকিল লাগছিল ভারতের জন্য। তবে সেক্ষেত্রে কৃতিত্ব দিতে হবে নীতিশ রেড্ডিকে। পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে ৫৪ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪২ রান করেন তিনি। যদিও দলের শেষ ব্যাটার হিসেবে স্টার্কের কাছেই থামতে হয় তাকে।
বল হাতে ১৪.১ ওভারে ২ মেডেনসহ ৪৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটা তার ১৫তম পাঁচ উইকেট শিকার। স্টার্কের ৯১ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটিই সেরা বোলিং। এত দিন সেরা ছিল ২০১৬ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ রানে ৬ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং আরেক পেসার স্কট বোল্যান্ড।