ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আমির জাঙ্গু, কে এই মুসলিম ক্রিকেটার?
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৫ সদস্যের দলে বড় চমক আমির জাঙ্গু। আমির উইকেটকিপার ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২৭ বছর বয়সী মুসলিম বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটার আগে কোনো সংস্করণেই খেলেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ডাক পেয়েছেন, আশা করছেন দারুণ কিছুর।
ত্রিনিদাদের ছেলে জাঙ্গু। সেখানেই মুসলিম পরিবারে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। অন্য অনেকের মতো ছেলেবেলা থেকেই ক্রিকেট পাগল আমির জাঙ্গু। ধীরে ধীরে ক্রিকেটে নিজের জায়গা শক্ত করেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। গত মাসে শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিজিওনাল সুপার৫০ কাপের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। ওই টুর্নামেন্টে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর হয়ে সাত ইনিংসে ৮৯.২০ গড়ে ৪৪৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। গায়ানার বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়া জাঙ্গু আরও দুবার সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েছিলেন। লিওয়ার্ড আইল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৬ রানে আউট হওয়া ব্যাটসম্যান বার্বাডোজের বিপক্ষ অপরাজিত ছিলেন ৯৩ রানে। ৪৯ ম্যাচের লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রানই জাঙ্গু করলেন এই ৭ ইনিংসে।
জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর জাঙ্গু ত্রিনিদাদের দৈনিক দ্য এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলেছেন। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার কথাই বললেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, ‘স্বপ্ন সত্যি হলো। প্রথম যেদিন ক্রিকেট ব্যাট হাতে নিয়েছি সেদিন থেকেই তো এমন কিছু চেয়েছি। মাত্রই শুরু হলো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটই তো সবার ওপরে, এখানে টিকে থাকাটাই সবকিছু।’
২০১৭ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় জাঙ্গুর। ক্যারিয়ার কীভাবে ২০২৪ সালে এসে ঘুরে দাঁড়াল? জাঙ্গু বলেন, ‘বছরটা শুরুর আগেই চিন্তাভাবনা শুরু করলাম, নিজের খেলা বিশ্লেষণ করলাম, চিহ্নিত করলাম নিজের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা। এরপর ভাবলাম কীভাবে উন্নতি করা যায় আর সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করলাম। ফল তো হাতেনাতেই পেলাম, নিজেকে এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো খেলোয়াড় মনে হচ্ছে আমার।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাদা বলের দলের কোচ ড্যারেন স্যামি বিশ্বাস করেন জাঙ্গু দারুণ কিছু করবেন। তিনি বলেন, ‘ সুপার৫০ টুর্নামেন্টে জাঙ্গুর ব্যাটিং দেখিয়েছে, সে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ব্যাটিংয়ে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।’
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৮ ডিসেম্বর। সিরিজের পরের দুটি ম্যাচ ১০ ও ১২ ডিসেম্বর।