ছাত্রশিবির ঢাকা বিভাগীয় আন্তঃশাখা ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ঢাবি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় আন্তঃশাখা ফুটবল টুর্নামেন্টে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বি.জি. প্রেস স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক রাজিবুল হাসান বাপ্পি। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় অতিথিবৃন্দ তরুণ ছাত্রসমাজের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা ও শরীরচর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিভাগীয় আন্ত:শাখা ফুটবল টুর্নামেন্টে মোট ৩০টি দল অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় খেলাধুলা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্রশিবির সুস্থ দেহ ও সুন্দর মনের অধিকারী যুবসমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। "সুস্থ দেহ, সুন্দর মন—দ্বীন কায়েমের আন্দোলন" এই স্লোগানটি ধারণ করে আমরা আমাদের জনশক্তিদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকি।
তিনি বলেন, এক মাসব্যাপী চলা ঢাকা বিভাগীয় ৩০ টি দল ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা নিজেদের জনশক্তি ও নেতৃত্বকে সুসংহত করার পাশাপাশি শারীরিক দক্ষতাও বৃদ্ধি করি। এটি অত্যন্ত আনন্দের এবং গর্বের বিষয় যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম এই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেছে। তবে এখানে জয়-পরাজয়ের চেয়েও বড় উদ্দেশ্য হল অংশগ্রহণের মাধ্যমে দলগত সমন্বয় ও সহযোগিতা গড়ে তোলা। প্রতিটি দলের কঠোর পরিশ্রম এবং খেলাধুলার প্রতি তাঁদের আন্তরিকতা সত্যিই প্রশংসনীয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের খেলাধুলা বিভাগের কাজ হচ্ছে জনশক্তিদের শারীরিক উৎকর্ষতা, মানসিক প্রশান্তি এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। আমরা নিয়মিতভাবে বিভিন্ন খেলা, ব্যায়াম, এবং শারীরিক অনুশীলনের আয়োজন করে থাকি। এছাড়াও ক্রীড়ার মাধ্যমে আমরা সদস্যদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা, শৃঙ্খলা এবং মনোবল বৃদ্ধির উপরও গুরুত্ব দেই। আমরা মনে করি নিয়মিত খেলাধুলা আমাদের শরীর ও মনের জন্য অপরিহার্য। এটি শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার পাশাপাশি মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
“খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা শৃঙ্খলা, ধৈর্য ও দলগতভাবে কাজ করার গুণাবলি অর্জন করতে পারি। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং দৈনন্দিন জীবনে ইতিবাচক শক্তি যোগায়। সুস্থ দেহে সুস্থ মন গড়তে নিয়মিত খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা চাই আমাদের জনশক্তি ভাইয়েরা শারীরিকভাবে সুস্থ, মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং আদর্শনিষ্ঠ সমাজসেবক হিসেবে গড়ে উঠুক। একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে শারীরিক সক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলার মধ্য দিয়ে আমাদের সদস্যরা স্বাস্থ্য সচেতনতা, শৃঙ্খলা, এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ শিখতে পারে।”