টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, মিরাজের মাইলফলক
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতা বিরাজ করছে। আজ সোমবার অলিখিত ফাইনালে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ-আফগানরা। প্রথম ম্যাচে হতশ্রী ব্যাটিংয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে নাজমুল হোসেন শান্তর দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া বাংলাদেশের চোখ এখন সিরিজ জয়ে। এদিকে মাঠে নামার আগে দুঃসংবাদ পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে কুঁচকির চোটে মাঠ ছাড়েন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। পরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে থেকে ছিটকে যান তিনি। নিয়মিত অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব পেলেন সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
এমন সমীকরণ নিয়ে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মিরাজ। আর এই ম্যাচে টস করতে নেমেই অন্য রকম এক সেঞ্চুরি পূরণ করলেন টাইগার এই অলরাউন্ডার। ১৩তম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে শততম ওয়ানডে ম্যাচের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। আজকের ম্যাচটি মিরাজের কাছে নিঃসন্দেহে বিশেষ। একে তো চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ, তার ওপর অধিনায়কত্ব। ব্যক্তিগত অর্জনের ম্যাচে এত দায়িত্ব নিয়ে তিনি নিশ্চয়ই চাইবেন দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেটে ২০১৭ সালে অভিষিক্ত হন মিরাজ। অভিষেকের পর থেকে দলের অন্যতম ভরসা হয়ে ওঠেন তিনি। সাকিব আল হাসানের মতো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ছায়ায় থেকেও মিরাজ ছিলেন আপন আলোয় উজ্জ্বল। এখন তো তিনিই দলের সবচেয়ে বড় অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন: আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলছেন না শান্ত, অধিনায়কত্ব করবেন কে?
ব্যাট ও বল হাতে মিরাজ রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্যাট হাতে ১ হাজার ৩৮১ রান করেন তিনি। দুইটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফসেঞ্চুরিতে ২৩.৪০ গড় ও ৭৭.৪৫ স্ট্রাইক রেটে এই রান করেন তিনি। বল হাতেও ছড়িয়েছেন আলো। ৩৪.৮৩ গড় ও ৪.৭৮ ইকোনমিতে ১০৮ উইকেট নিয়েছেন এই স্পিনার। ব্যাটিং, বোলিংয়ের সঙ্গে ফিল্ডিংয়েও নিজেকে প্রমাণ করেছেন মিরাজ।
বাংলাদেশ একাদশ
সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, জাকির হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী (উইকেটকিপার), নাসুম আহমেদ, নাহিদ রানা, শরীফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), সেদিকউল্লাহ আটাল, রহমাত শাহ, হাশমতউল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), আজমাতউল্লাহ ওমারজাই, মোহাম্মদ নবি, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, আল্লাহ্ মোহাম্মদ গাজানফার, নানগেয়ালিয়া খারোটে ও ফজলহক ফারুকি।