০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭

বিরল রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে শারজাহ স্টেডিয়াম, সাক্ষী হবে বাংলাদেশও

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম  © সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনিন্দ্য সুন্দর ভেন্যু শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। মরুর বুকে যেন এক উৎসবস্থল। ৯৮৪ সালে আরব আমিরাতের শিল্পনগরী শারজাহতে তৈরি করা হয় এই স্টেডিয়াম। এ মাঠে এখন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৯৯টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। ৩০০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে শারজাহ স্টেডিয়াম গড়তে যাচ্ছে বিরল রেকর্ড। পৃথিবীর আর কোনো স্টেডিয়ামে ৩০০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি। এ ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের অ্যাওয়ে সিরিজের আয়োজক হচ্ছে শারজাহ। আগামীকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। এ ম্যাচটি হতে যাচ্ছে শারজাহ স্টেডিয়ামের ৩০০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। বিশ্বের প্রথম ভেন্যু হিসেবে শারজাহ গড়তে যাচ্ছে অনন্য রেকর্ড। অবশ্য, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডও ৩০০'র মাইলফলক স্পর্শের খুব কাছেই আছে। তবে শারজার নামটা থাকছে সবার প্রথমে। 

কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে ইতিহাস গড়েছিল এই স্টেডিয়াম। সেই ম্যাচটি ছিল শারজাহ স্টেডিয়ামে ২৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ। একদিনের ক্রিকেটে আগে থেকেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ আয়োজনের রেকর্ড ছিল এই মাঠে। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ তাতে যোগ করে নতুন মাত্রা।

জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে আরব আমিরাতের শিল্পনগরী শারজাহতে ওয়ানডে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বিবেচনায় তৈরি করা হয় শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম। আরব আমিরাতে থাকা প্রবাসী দর্শকদের সুবাদে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেতে থাকে এই স্টেডিয়াম। শতবর্ষী অনেক স্টেডিয়ামের তুলনায় অনেক বেশি ম্যাচ আয়োজন করেছে শারজাহ স্টেডিয়াম। বিশ্বের একমাত্র স্টেডিয়াম হিসেবে ২০০ ওয়ানডে ম্যাচের আয়োজক এই মাঠ। 

৩০০ আন্তর্জাতিক ম্যাচের এই যাত্রায় ২০১৮ সালে আইসিসি অন্ধ বিশ্বকাপ, ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০০৪ সালের আইসিসি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের আয়োজক ছিল এই স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ থেকে রাজনৈতিক কারণে সরিয়ে নেয়া ২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচও হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। ২০১০ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও উঠেছিল এই স্টেডিয়ামের নাম।