দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে লজ্জাজনক পরাজয়, হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করল, ধবলধোলাই হলো বাংলাদেশ। একদিকে ঢাকার ছাদখোলা বাসে সাফজয়ী মেয়েদের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা সাধারণ মানুষ, আর চট্টগ্রামে রাজ্যের বিষাদ নামিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাংলাদেশকে রেকর্ড দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস ও ২৭৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম ইনিংসে মুমিনুলের ৮২ রান ও তাইজুলের ৫ উইকেট ছাড়া এই টেস্টে বলার মতো পারফর্ম করতে পারেনি বাংলাদেশের আর কেউ। প্রথম ইনিংসে এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন ৮ জন ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৫৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে এক অঙ্কে আউট হওয়া ব্যাটসম্যানদের সংখ্যা একজন কমেছে। তাতে অবশ্য দলীয় সংগ্রহ বাড়েনি। ৪১৬ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৪৩ রানে। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স এমন থাকলে ধবলধোলাই না হয়ে উপায় কী!
মিরপুর টেস্টের পর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতা দেখিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আগের ম্যাচ হারায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে কেবল তারা ধবলধোলাই এড়াতে পারত। আরও একবার বেহাল ব্যাটিংয়ে সেটিকে অসম্ভব প্রমাণ করেছেন শান্ত-মুশফিক ও সাদমান ইসলামরা। দুটি ইনিংসেই বাংলাদেশের তাড়না ছিল যেন কত দ্রুত ম্যাচটি শেষ করা যায়! দক্ষিণ আফ্রিকার টেল-এন্ডার ব্যাটাররাও যেখানে সেঞ্চুরি ও ফিফটি করেছে, সেখানে টাইগাররা কত দ্রুত আউট হওয়া যায় সেই প্রতিযোগিতায় নেমেছিল!
তিন সেঞ্চুরিতে প্রোটিয়ারা ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। বিপরীতে মাত্র ১৫৯ রানেই গুটিয়ে গিয়ে প্রথম ইনিংসে ফলো-অনে পড়ে বাংলাদেশ। গতকাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমেই তারা ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) দলীয় সংগ্রহে আর ১২১ রান যোগ করতেই পড়ে বাকি ৬ উইকেট। এরপর ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে পাঠায় এইডেন মার্করামের প্রোটিয়া শিবির। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৪৩ রানে। যার ফলে লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হলো টাইগারদের।