৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৭

বাংলাদেশ-নেপাল ফাইনাল আজ, কাপ নিয়ে দেশে ফিরতে চান মেয়েরা

সাবিনাদের টানা দ্বিতীয় শিরোপা ধরে রাখার লড়াই আজ  © সংগৃহীত

দক্ষিণ এশীয় নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আজ। ২০২২ সালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েরা সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারও একই দেশে একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সামনে শিরোপা ধরে রাখার মিশন। 

বুধবার (৩০ অক্টোবর) কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা।

২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের গত ছয় আসরে পাঁচ বারই চ্যাম্পিয়ণ ভারত। শুধু গত আসরের চ্যাম্পিয়ণ বাংলাদেশ। তাই এবারে আবার শিরোপা জিততে পারলে ভারতের পর টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের স্বাদও পাবে বাংলাদেশের নারীরা।

বাংলাদেশ এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করেছে। অপরদিকে গত আসরের মত এবারের আসরেও আরেক সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টের সবচাইতে সফলতম দল ভারতকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নেয় নেপাল। রেকর্ড ষষ্টবারের মত ফাইনালে খেলছে নেপাল। কিন্তু একবারও শিরোপা জিততে পারেনি তারা। তাই বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা খরা কাঁটাতে চাইবে নেপাল। 

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার ও অধিনায়ক সাবিনা খাতুন নেপালকে সমীহ করছেন। দুজনের কণ্ঠেই শিরোপা জয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সাবিনা খাতুনের কথায়, ‘সব বিষয়েই কিছু সুবিধা ও অসুবিধা থাকে। আমাদের দলের অধিকাংশ সদস্যের বয়স কম। প্রতিপক্ষ দল খেলবে বিপুল দর্শক সমর্থন নিয়ে। কিন্তু আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন, মাঠে আমরা সেরা খেলাটাই উপহার দেব।’

এদিকে, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাদখোলা বাসে উদযাপন করার স্মৃতি মনে করিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট দিয়েছেন সানজিদা আক্তার। পোস্টে সানজিদা লিখেছেন, ২০২২ সালে ছাদখোলা বাসে উদযাপন করার এই দৃশ্য দেখাটা দেশবাসীর জন্য যেমন ছিল প্রথম, আমাদের জন্যও ছিল অসাধারণ এক অনুভূতি। আমাদের আবেগকে সম্মান দেখিয়ে রাতারাতি যে আয়োজন করা হয়েছিল, একইসঙ্গে তপ্তরোদে দেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষ রাস্তার চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য আমাদেরকে আন্দোলিত করেছে।

‘আগেরবার যেটি ছিল প্রথমবার অর্জনের চেষ্ঠা, সেটিই এবার ধরে রাখার মিশন। দায়িত্ব বেড়েছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের কাজই এটা। স্বাগতিক প্রতিপক্ষ, সেই প্রতিপক্ষের মাঠ, আবার সেই প্রতিপক্ষের চেনা দর্শকদের সামনে আমরা খেলতে যাচ্ছি। অবশ্যই সেটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। তবে আমরা সদা আত্মবিশ্বাসী ও দেশমাতৃকার নিকট প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

তিনি আরও লিখেছেন, দেশের সংস্কার ও নতুন জাগ্রত কর্মকাণ্ডের প্রেষণা দিতে আমাদের ভালো করাটা গুরুত্বপূর্ণ। ট্রফি ধরে রাখার মিশন ও দেশবাসীকে আরেকবার উদযাপনের উপলক্ষ্য হতে আমরা এটি জিততে চাই। আর সেটি আমরা করে দেখাবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

হেড টু হেড পরিসংখ্যান ও ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে নেপাল এগিয়ে থাকলেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জেতার নিরিখে এগিয়ে আছে বাংলার বাঘিনীরা। ১২ বারের সাক্ষাতে লাল-সবুজ বাহিনী যেখানে মাত্র সর্বসাকল্যে একটি ম্যাচে জিতেছে, সেখানে নেপালের জয় ৬ ম্যাচে। তবে ওই একটি জয়-ই ছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ও স্মরণীয় জয়। সেটা সর্বশেষ ২০২২ সাফের ফাইনালে। 

সেবার এই কাঠমান্ডুর দশরথেই শামসুন্নাহার জুনিয়রের জোড়া গোল এবং কৃষ্ণা রানী সরকারের এক গোলের সুবাদে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে উল্লাসে মেতেছিল লাল-সবুজ বাহিনী। এবারও টানা দ্বিতীয় শিরোপায় চোখ বাহিনীদের।