ভিনির জাদুতে বার্নাব্যুতে রিয়ালের অসাধারণ জয়
প্রতিযোগিতা যদি হয় চ্যাম্পিয়নস লিগ আর দলটির নাম যদি হয় রিয়াল মাদ্রিদ তবে তা প্রতিপক্ষের জন্য নিঃসন্দেহে ভয়ের কারণ। বলা হয়ে থাকে বার্নাব্যুতে ৯০ মিনিট অনেক লম্বা সময়। আবার এই কাপটিকেও বলা হয় রিয়ালের নিজস্ব সম্পত্তি। ঠিক সেটিই যেন প্রমাণ করে দিল আরও একবার ইউরোপ সেরা এই ক্লাবটি। শেষ বাঁশি না বাজার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত রিয়াল কি অঘটন ঘটাবে তা বলা দায়। ঘরের মাঠে প্রথম ৬০ মিনিটে ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ শেষ করলো ৫-২ গোলে বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে।
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ রিয়ালের জালে ৩৪ মিনিটের মধ্যে ২ গোল দেওয়া ডর্টমুন্ড ম্যাচের শেষ আধঘণ্টায় নিজেরাই খেয়েছে ৫টা। দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেছেন রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। একটা করে গোল আন্টোনিও রুডিগার ও লুকাস ভাসকেজের। ম্যাচের ৬০ মিনিট থেকে যোগ হওয়ার সময়ের তৃতীয় মিনিট, এই ৩৩ মিনিটেই ৫টি গোল করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের দুই প্রতিপক্ষ ছিল রিয়াল ডর্ট্মুন্ড। সে ম্যাচে হারের বদলা হয়ত নিতে চেয়েছিল ডর্টমুন্ড। ফাইনালে হারের বদলা তো আর প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে হয় না। তারপরও ডর্টমুন্ড নিশ্চয়ই চেয়েছিল এ ম্যাচে রিয়ালকে হারিয়ে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পেতে। হলো অবশ্য উল্টোটা। ওয়েম্বলিতে ২-০ গোলে হারা ডর্টমুন্ড এই ম্যাচ থেকে সান্ত্বনা নয়, ফিরল আরও হতাশা নিয়ে।
ব্যালন ডি’অরের ‘হট ফেবারিট’ ভিনিই আসলে রিয়ালের দুর্দান্ত এই প্রত্যাবর্তনের মূল নায়ক। যদিও ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা হয়েছিল রুডিগারের গোলে, ম্যাচের ৬০ মিনিটে। ৩০ মিনিটে ডনিয়েল ম্যালেন এবং ৩৪ মিনিটে জেমি গিটেন্সের গোলে ডর্টমুন্ড তখনো ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে। পিছিয়ে পড়ে রিয়াল একের পর এক আক্রমণে অস্থির করে তোলে ডর্টমুন্ডের রক্ষণকে। তবে প্রথম ফলটা পায় কিলিয়ান এমবাপ্পে-রুডিগারের যুগলবন্দিতে। এমবাপ্পের ক্রসে হেড করে ব্যবধান কমান রুডিগার। এর মিনিট দুয়েক পরেই ভিনি করেন সমতা ফেরানো গোলটা। শুরুতে রেফারি অফসাইড দেখিয়ে সেটা বাতিল করে দিলেও পরে ভিএআরে আসে গোলের সিদ্ধান্ত।
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট বাকি থাকতে লুকাস ভাসকেজের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। বাকিটা একেবারেই ‘ভিনি-শো’। ৮৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটা করেন ভিনিসিয়ুস, নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান ডর্টমুন্ডের অর্ধে, শেষে বক্সের বাইরে থেকে তাঁর অসাধারণ শট যায় জালে। কিন্তু ভিনি থামেননি সেখানেই, যোগ হওয়া সময়ের তৃতীয় মিনিটে পেয়ে যান হ্যাটট্রিকও। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি ভিনির তৃতীয় হ্যাটট্রিক, তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম।