তাইজুলের ফাইফার ও রেকর্ড, কোনঠাসা দক্ষিণ আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে চমক দেখাচ্ছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। স্পিন বান্ধব উইকেটে তার ঘূর্ণিতে প্রোটিয়া ব্যাটাররা খেই হারিয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার শিকার ৫ উইকেট। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৩তম ফাইফার। এ ছাড়াও টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট ২০০ উইকেট পাওয়া দ্বিতীয় বোলার তাইজুল ইসলাম। এর আগে এই কীর্তি গড়েছেন সাকিব আল হাসান। ২৪৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই তালিকায় তাইজুলের পরে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (১৮৩ উইকেট)।
সোমবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ১০৬ রানে গুটিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপর ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। হাসান মাহমুদের শুরুর ৫ বলে ৯ রান নিলেও শেষ বলে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন এইডেন মার্করাম। প্রোটিয়া অধিনায়কের বিদায়ে ক্রিজে এসেছেন ট্রিস্টিয়ান স্টাবস। ডি জর্জিকে সঙ্গে নিয়ে প্রোটিয়াদের স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন এই ব্যাটার।
যদিও মেহেদী হাসান মিরাজের বল অন সাইডে খেলার চেষ্টায় সোজা শর্ট লেগ ফিল্ডার বরাবর মারেন স্টাবস। ধরার মতো উচ্চতায় থাকলেও হাতে জমাতে পারেননি মাহমুদুল হাসান জয়। ৮ রানে বেঁচে যান স্টাবস। এরপর তাইজুলের ওভারের প্রথম দুই বলে বাউন্ডারি মারেন তিনি। এর এক বল পরই জবাব দেন তাইজুল। ফুল লেংথ ডেলিভারি ব্যাক ফুটে রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টায় স্লিপে সাদমান ইসলামের হাতে ধরা পড়েন ২৭ বলে ২৩ রান করা স্টাবস। এরপর ডেভিড বেডিংহ্যামকে নিয়ে আর কোন উইকেট না হারিয়ে চা বিরতিতে যান জর্জি।
চা বিরতির পর নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেন নি বেডিংহ্যাম। তাইজুলের বেশ বড় টার্ন করা ডেলিভারি কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হলেন তিনি। ২৫ বলে ১১ রান করে ফিরলেন তিনি। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন রায়ান রিকেল্টন। টোনি ডি জোর্জি ও তিনি মিলে দলের রান ১০০’র ঘরে নিয়ে যান। তবে তাইজুলের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই ওপেনার। ৭২ বলে করেন ৩০ রান। নিজের চতুর্থ উইকেট শিকার করতে অবশ্য বেশী সময় নেননি তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনারের বল লিভ করতে গিয়ে বোল্ড হন ম্যাথিউ ব্রিটসকি।
প্রোটিয়া ব্যাটাররা লিড নিলেও সেই লিড বড় হওয়ার আগেই নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। রিকলেন্টনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার।