দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নিউজিল্যান্ড। রবিবার (২০ অক্টোবর দুবাইয়ে ফাইনালে প্রোটিয়া মেয়েদের ৩২ রানে হারিয়ে ১৫ বছরের অধরা স্বপ্ন পূরণ করেছে কিউইরা। ২০০৯ ও ২০১০ সালে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুবার ফাইনালে উঠে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। শুরু থেকে আগ্রাসী ছিল হোয়াইট ফার্নরা। প্রথম ১১ বলে ১৬ রান তুলে ওপেনিং জুটি ভাঙে তাদের। জর্জিয়া প্লিমার (৯) থামেন দুটি চার মেরে। পাওয়ার প্লেতে এই আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি গড়ে নিউজিল্যান্ড। ১ উইকেটে করে ৪৩ রান। সুজি অষ্টম ওভারে ৩১ বলে ৩২ রান করে থামেন। ডিভাইন (৬) ছোট ইনিংস খেলে বিদায় হন।
কার ও ব্রুক হালিডে জুটি বেঁধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন। তাদের ৫৭ রানের জুটিতে বড় স্কোরের আভাস দেয় নিউজিল্যান্ড। ২৮ বলে ৩৮ রান করে আউট হন হালিডে। শেষের আগের ওভারে মাঠ ছাড়েন কার, ৩৮ বলে করেন ইনিংস সেরা ৪৩ রান। ম্যাডি গ্রিনের এক ছক্কায় করা ১২ রানে হোয়াইট ফার্নরা দেড়শ পার করে। ৫ উইকেটে তারা করে ১৫৮ রান, বিশ্বকাপের ফাইনালে এটা কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস।
আরও পড়ুন: দ.আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ননকুলুলেকো ম্লাবা সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন।
লক্ষ্যে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫০ পার করে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৫১ রানে তাজনিম ব্রিটস (১৭) ফেরেন। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে। দশম ওভারে কার জোড়া আঘাত করেন। আর দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যপ্রান্ত থেকে রোসমেরি মায়ার বল হাতে নৈপুণ্য দেখান। তাতে ৯ উইকেটে ১২৬ রানে থামে প্রোটিয়ারা।
কার ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। সমান উইকেট পান মায়ারও। তবে ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন কার। ১৫ উইকেট নিয়ে ও ১৩৫ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও তিনি।