২১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৮

শামসুন্নাহারের শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়াল বাংলাদেশ

পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচের একটি মুহূর্তে  © সংগৃহীত

প্রথমার্ধে রক্ষণের ভুলে গোল হজম করেছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে নান্দনিক ফুটবল খেলে সেই ভুলের ক্ষতে প্রলেপ দেন বাংলাদেশের মেয়েরা। তাতে রবিবার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচটা পাকিস্তানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করল পিটার বাটলারের দল। পুরো ম্যাচে নজরকাড়া পারফর্ম করে ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের মনিকা চাকমা। 

নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে এদিন প্রথমার্ধে গোলের ভালো সম্ভাবনা তৈরি করেও উল্টো গোল হজম করতে হয় বাংলাদেশকে। ম্যাচের ৩১তম মিনিটে মাঝমাঠ দিয়ে আক্রমণে ওঠে পাকিস্তান। বাংলাদেশিদের বাধা পেয়ে লং শটে বল ডি বক্সের দিকে পাঠান একজন পাকিস্তানি। সেই বল ধরে নিখুঁত শটে বাংলাদেশের জালে জড়ান সামিন মালিক। 

পাকিস্তানের এই গোলে বাংলাদেশ দলের রক্ষণভাগের দুর্বলতা পরিষ্কারভাবে চোখে পড়ে। কারণ ডিফেন্স লাইন অরক্ষিত দেখেই হাওয়ায় বল ভাসায় পাকিস্তান। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগান মালিক। সব মিলিয়ে প্রথম ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ গোলমুখে ছয়টি শট নেয়, যার তিনটি টার্গেট মতো গেলেও লক্ষ্যে পৌঁছায়নি। তবে আক্রমণে কিছুটা জোর থাকলেও রক্ষণ নিয়ে ভালোই ভুগতে হয়েছে সাবিনাদের। আগের সাফের তারকা ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনের অভাবও হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে তারা। 

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা করে বাংলাদেশ। প্রথম কয়েক মিনিট প্রতিপক্ষকে চাপে রাখেন মেয়েরা। ক্রমাগত ক্রস দিয়ে রক্ষণ ভাঙতে চান তাঁরা। আর বাংলাদেশের আক্রমণ সামলাতে পাকিস্তানকেও কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করতে দেখা যায়। তবে ম্যাচের সময় গড়ানোর সঙ্গে পাকিস্তানও আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করে। তবে বাংলাদেশ কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলায় বেশ কয়েকটি আক্রমণ নস্যাৎ হয়ে যায় পাকিস্তানের।

আরও পড়ুন: কবে মাঠে ফিরছেন জানালেন নেইমার নিজেই

ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে তুলে কৃষ্ণাকে নামায় কোচ পিটার বাটলার। এই ৬৯ মিনিট মাঠে থেকে দৃশ্যমান কিছুই করতে পারেননি সাবিনা। অথচ গত আসরে এই পাকিস্তানের সঙ্গে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ৭০ থেকে ৮০ এই ১০ মিনিটে বাংলাদেশের মেয়েরা আরও তিনটি আক্রমণ সাজান। কিন্তু পাকিস্তানের গোলকিপার নিশা আশরাফের চোখ ফাঁকি দেওয়া যায়নি। দারুণ প্রচেষ্টায় নিশ্চিত একটি গোল বাঁচিয়ে দেন তিনি। 

 ৭৭তম মিনিটে পাকিস্তানের আমিনা হানিফ বাংলাদেশের গোলকিপার রুপনা চাকমাকে একা পেয়েও গোল দিতে পারেননি। বিচক্ষণতার সঙ্গে তাৎক্ষণিক বল গ্লাভসবন্দী করেন রুপনা। শেষ দিকে একাধিক খেলোয়াড় অদলবদল করেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ। আক্রমণের ধার আরও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত যোগ করা মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। বাঁপ্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠা বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান শামসুন্নাহার সিনিয়র। তাতে পাকিস্তানের পূর্ণ তিন পয়েন্টের আশা ভেস্তে যায়।