২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৯

দ.আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

দ.আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ  © সংগৃহীত

আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম টেস্ট। নয় বছর পর বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসেছে প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকা সবশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সোমবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি। আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় এই সিরিজটি দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট দলে অভিষেক হচ্ছে জাকের আলী অনিকের। দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম এদিন জাকেরকে টেস্ট ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ১০৫তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্যাপ পাচ্ছেন জাকের। ২৬ বছর বয়সি উইকেটরক্ষক টি-২০ দিয়ে গত বছর জাতীয় দলে পা রাখেন। যদিও এখনও জ্বলে উঠতে পারেননি।

এখন পর্যন্ত ১৪টি টেস্টে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে ১২টিতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই টেস্ট ড্র হয়েছে। ফলে টেস্ট ক্রিকেটে তাদের বিরুদ্ধে এখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। দুই দলের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ রান দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম টেস্টে ৭ উইকেটে ৫৮৩ রান করেছিলো প্রোটিয়ারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৩২৬।

এদিকে মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। টেস্টে ৬ হাজারি রানের ক্লাবে ঢুকতে তার দরকার ৩৯ রান। ৯১ টেস্টের ১৭০ ইনিংসের ক্যারিয়ারে তিনি করেছেন ৫ হাজার ৯৬১ রান। এই ফরম্যাটে ১১টি শতক ও ২৭টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি।

তাইজুল দাঁড়িয়ে আছেন ২০০ উইকেটের মাইলফলকের সামনে। ৪৭ টেস্টের ৮৪ ইনিংসে তিনি নিয়েছেন ১৯৬ উইকেট, ২০০ পূরণ করতে তার দরকার আর ৪ উইকেট। তাইজুলের বোলিং গড় ৩২.২১। টাইগারদের মধ্যে তাইজুলের চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন কেবল সাকিব (২৪৬)।

বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে তিন স্পিনার ও একজন পেসার দিয়ে। জায়গা ধরে রেখেছেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রায় এক বছর পর সুযোগ পেয়েছেন নাঈম হাসান। গত বছরের ডিসেম্বরে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। একমাত্র পেসার হাসান মাহমুদ।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ এবং নাহিদ রানা।

দক্ষিণ আফ্রিকার সম্ভাব্য একাদশ: এইডেন মারক্রাম (অধিনায়ক), টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, ডেভিড বেডিংহাম, কাইল ভেরিয়েন্নে, উইয়ান মুল্ডার, সেনুরান মুথুসামি, কেশব মহারাজ, ডেন পিয়েট এবং কাগিসো রাবাদা।