১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৩৯

যেমন ছিল টাইগারদের নতুন কোচ ফিল সিমন্সের ক্রিকেট ক্যারিয়ার

ফিল সিমন্স  © ফাইল ফটো

ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগের পড়ন্ত বেলায় খেলেছেন প্রায় এক যুগ। মূলত অলরাউন্ডার ছিলেন। টপ-অর্ডারে মারকুটে ব্যাট করতেন, দলের প্রয়োজনে মিডিয়াস পেস করতেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জয়ে তার ছিল অগ্রণী ভূমিকা। পরিসংখ্যান দিয়ে তাকে মূল্যায়ন করা যাবে না। কেননা, দলের প্রয়োজনেই তিনি ব্যাটিং-বোলিং করতেন সব সময়। তিনি ফিল সিমন্স। বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ।

আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দিন কয়েক আগেই আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বরখাস্ত হলেন হাথুরুসিংহে। লঙ্কান এই কোচের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচের দায়িত্ব পেলেন ফিল সিমন্স। ক্যারিবিয়ান এই কোচের সঙ্গে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি বিসিবির।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচ নিয়োগ দেওয়ার। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচ হিসেবে ফিল সিমন্স চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত কাজ করবেন।’  

আরও পড়ুন: বরখাস্ত হলেন হাথুরুসিংহে, নতুন কোচ ফিল সিমন্স

১৯৮৭ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রঙিন পোশাকের ক্রিকেট ওয়ানডেতে অভিষেক হয় ফিল সিমন্সের। সে ম্যাচে ৫৭ বলে ৫০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন তিনি। পরের বছরই সিমন্সের ডাক পড়ে ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাট টেস্টে। অবশ্য সাদা পোশাকের ক্রিকেটে খুব একটা সফল যে ছিলেন না সিমন্স, সেটা বোঝা যায় তার টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা দেখলেই। পুরো ক্যারিয়ারে মাত্র ২৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় সিমন্সের। ওয়ানডেতে সংখ্যাটা ১৪৩। সিমন্স অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন ওয়ানডে দারুণ সব পারফরম্যান্সের জন্য। 

১৯৯২ সালের বেনসন অ্যান্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩ রান দিয়ে শিকার করেছিলেন ৪ উইকেট। তাসের ঘরের মতো ভেঙে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। তার সেই রেকর্ড আজও অক্ষত।

ক্যারিয়ারে ২৬ টেস্টে ব্যাট হাতে সিমন্স করেছেন ১ হাজার ২ রান। এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ৪টি হাফসেঞ্চুরিও। বল হাতে শিকার ৪ উইকেট। আর ১৪৩ ওয়ানডেতে সিমন্সের রান ৩ হাজার ৬৭৫। ৫ সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে ১৮টি হাফসেঞ্চুরি। এই ফরম্যাটে বল হাতে শিকার করেছেন ৮৩ উইকেট। টেস্টের চেয়ে তিনি ওয়ানডেতে ছিলেন বেশি কার্যকর।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৯৮৭, ১৯৯২ ও ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন সিমন্স। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে ওল্ড ট্রাফোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডে। তারপর বেছে নেন ক্রিকেট কোচিং। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ছিলেন ফিল সিমন্স। সেবার তার হাত ধরে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। সেই সিমন্সই এবার দায়িত্ব নিচ্ছেন বাংলাদেশের। শুধু বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতাই নয়, কোচ হিসেবেও বড় মঞ্চে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার।