বিপিএলে সম্পৃক্ত হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, থাকছে নতুনত্বের ছোঁয়া
চলতি বছরের শেষদিকে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর। এই টুর্নামেন্টকে আরো উপভোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের নিরিখে এগিয়ে নিতে প্রধান উপদেষ্টার সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। রবিবার (১৩ অক্টোবর) শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অলিম্পিকের মতো বৈশ্বিক একটি মেগা ইভেন্টের ডিজাইনে ইনপুট দেন। সবশেষ প্যারিস অলিম্পিকেও তার সম্পৃক্ততা ছিল। তাই বিপিএলের মতো একটা ইভেন্টে তার অভিজ্ঞতা কাজে না লাগাতে পারলে সেটি দুর্ভাগ্যজনক হবে। পরবর্তীতে বিপিএল আয়োজক কমিটি ও বিসিবির সাথে যৌথ এক মিটিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলেও জানান তিনি।
বিপিএলের মান আন্তর্জাতিক সমমানের পর্যায়ে আনতে প্রধান উপদেষ্টার দেয়া কিছু পরিকল্পনা প্রস্তাবনার কথাও জানান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। এছাড়াও স্টেডিয়ামগুলোর অবকাঠামোগত কিছু কাজ করা দরকার বলেও মনে করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামসহ ঢাকার অদূরে ফতুল্লা স্টেডিয়ামের মাঠ, গ্যালারি, সাইটক্রিন, স্কোরবোর্ড আধুনিকায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এসময় মিরপুর স্টেডিয়ামের দেয়ালে সাম্প্রতিক কিছু গ্রাফিতি যেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গিয়েছে সেগুলোর ব্যাপারেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘বিপিএলে এটা আমাদের এগারোতম আসর। আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে স্ট্রাগলিং, এটা ফ্যাক্ট। আমার বোর্ড সভাপতি হিসেবেও এটা স্বীকার করতে কোনো অসুবিধা নেই। সবসময় একটা শুরু থাকে, যেখান থেকে আমরা উত্তরোত্তর ভালো করতে পারি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘সে ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় আমাদের একদিন সময় দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টার মাধ্যমে। আমরা তার সঙ্গে বোর্ড থেকে যারা কাজ করে বিপিএল নিয়ে দুজন কর্মকর্তা, আমাদের ক্রীড়া উপদেষ্টা, উনার সঙ্গে যারা আছেন সবাই বসেছি। উই হ্যাড সাম ওয়ান্ডারফুল আইডিয়াস। সেগুলো নিয়ে আমার বিপিএল টিম কাজ করেছে’